বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার ব্রিটিশ এমপি মহম্মদ ইয়াসিন। কানাডা সফরে যাওয়ার সময় নামের জেরে দুটি বিমানবন্দরে তাঁকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন খোদ ব্রিটেনের সংসদ সদস্য।
কানাডা সফর সেরে দেশে ফিরেই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিনি। ব্রিটিশ এমপি মহম্মদ ইয়াসিনের অভিযোগ, কানাডা সফরে যাওয়ার সময় নামের জেরে দুটি বিমানবন্দরে তাঁকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। আপত্তিকর প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অবশ্য বিমান সংস্থার তরফে পালটা দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। তবে নামের জেরে এমন বিড়ম্বনায় পড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি ইয়াসিনের। তাই তাঁর ক্ষোভ চাপা রইল না।
গত সপ্তাহের লেবার পার্টির এমপি মহম্মদ ইয়াসিন ও আরও কয়েকজন সদস্য কানাডা যাচ্ছিলেন। হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর নিয়মমাফিক দেহ পরীক্ষা করা হয় তাঁদের। দেখা হয় কাগজপত্রও। কিন্তু ইয়াসিনের ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয় এখানে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষার পরও বিমান সংস্থা এয়ার কানাডার অফিসাররা তাঁকে প্রশ্ন করেন, সঙ্গে ছুরি কিংবা অন্য কোনও অস্ত্র আছে কি না। ফেরার পথে টরেন্টো বিমানবন্দরেও তাঁকে একই প্রশ্ন করা হয়। শেষমেশ তিনি ব্রিটেনের এমপি, সেই পরিচয়পত্র দেখানোর পর বিমানে ওঠার ছাড়পত্র মেলে।
এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ইয়াসিন। তাঁর অভিযোগ, তিনি মুসলিম বলেই বিমানবন্দরে এভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হল। ব্রিটিশ এমপি এও বলেন, অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, অপমানজনক পরিস্থিতি। যেখানে আমি একটা দলের সঙ্গে বিদেশে যাচ্ছি, সেখানে আমি একা সন্দেহভাজন। এমপি বলে আলাদা কোনও সুবিধা আমি কখনও প্রত্যাশা করি না। কিন্তু এটাই ভাবাচ্ছে যে ব্রিটিশ আইনসভার এমন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও যদিও আমাকে এই হেনস্তার মধ্যে পড়তে হয়, না জানি, সাধারণ মানুষ এই নাম নিয়ে কতটা অপমানিত হন।
মহম্মদ ইয়াসিনের সঙ্গে এয়ার কানাডার এই আচরণের জল গড়িয়েছে বহু দূর। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন আরেক এমপি ক্লাইভ বেটস। তাঁর প্রস্তাব ছিল, ব্রিটেনে কানাডা দূতাবাসে চিঠি লিখে এর তীব্র নিন্দা করা হোক। জানানো হোক যে কানাডার এই অযথা ‘ইসলাম ভীতি’ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত একজন এমপি যেখানে সরকারি কাজে গিয়েছেন। যদিও বিমান সংস্থার তরফে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে।