কলকাতা: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বাসমতি চাল বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যুনতম রপ্তানি মূল্য বাড়িয়েছে। পাশাপাশি নন বাসমতি সিদ্ধ চালের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি কর বাড়ানো হয়েছে এবং আতপ চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে প্রায় ৮০ শতাংশ চাল রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে চাল রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি।
সমস্যার সমাধানে ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার ফেডারেশনের উদ্যোগে কলকাতায় চাল রপ্তানিকারক সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় হয়ে গেল। এর উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই সুগন্ধী চাল বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার ফেডারেশানের জাতীয় সভাপতি ডঃ প্রেম গর্গ জানান, তিনি কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে বাসমতি চালের ন্যুনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি কুইন্টাল ১২০০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে আনার আবেদন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন তা কমিয়ে ৮৫০ করা হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। এর ফলে চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে তারা নানা সমস্যায় পড়ছেন। প্রেম গর্গ জানান,রপ্তানি কমে যাওয়ায় ভারতের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আই আর ই এফ এর রাজ্য সভাপতি রাহুল খৈতান, ডিজি সঞ্জীব আহুজা,রাজ্য সম্পাদক সুনীল আগরওয়াল প্রমুখ। সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘বাসমতি চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন বিক্রি অনেকটা কমেছে, পরোক্ষভাবে রাইস মিল গুলিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা।’ সেদ্ধ চালের উপর কর বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যের চাষিরাও ন্যূনতম বিক্রয় মূল্যে চাল বিক্রি করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। নতুন শস্য উঠলে তাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন।