স্পিন দাপট দেখার অপেক্ষা ছিল। চিপকের পিচ চমকে দিল। ভারতের বিরুদ্ধে এই মাঠে স্পিনের বিরুদ্ধে খাবি খেয়েছিলেন অজি ব্যাটাররা। পিচ থেকে এমনই প্রত্যাশা ছিল। যদিও নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে স্পিনাররা কোনও অ্যাডভান্টেজ পেলেন না। হয়তো অ্যাডভান্টেজ নিতেও পারলেন না! এ বারের বিশ্বকাপ অভিযান জয় দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যদিও তাদের ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা ছিলই। এই ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে বেশিদূর এগনো সম্ভব নয়, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পরপর দু-ম্যাচে হার বাংলাদেশের। খলনায়ক ব্যাটিং বিভাগ। এ বারের বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক নিউজিল্যান্ডের। চেন্নাই ম্যাচে নজর ছিল কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের দিকে। গত আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছিল। বিশ্বকাপে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। স্কোয়াডে রাখা হলেও নিশ্চিত ছিল না নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচের মধ্যে একটিতে শুধু ব্যাট করেন, অন্যটিতে ফিল্ডিং। ফুল ফিটনেস না থাকায় প্রথম দু-ম্যাচে উইলিয়ামসনকে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। অবশেষে প্রত্যাবর্তন। নেমেই দুর্দান্ত একটা ইনিংস। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের প্রথম বলেই তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেন বাঁ হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। লিটন দাস গোল্ডেন ডাক। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৪০), অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম (৬৬) এবং শেষ দিকে মাহমুদুল্লা রিয়াধের (৪১) সৌজন্যে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৫ স্কোরে পৌঁছয় বাংলাদেশ। কিউয়ি ব্যাটাররা যে ফর্মে রয়েছেন, তাতে এই স্কোর যে যথেষ্ঠ ছিল না, বলাই যায়। উইলিয়ামসন ফেরায় এই ম্যাচে বাদ দেওয়া হয় উইল ইয়ংকে। কনওয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসেন রাচিন রবীন্দ্র। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন রাচিন। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন হতেই যেন ফোকাস নড়ল। ৯ রানেই ফেরেন। ডেভন কনওয়ে ৪৫ রান করেন। ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন কেন উইলিয়ামসন। ড্যারেল মিচেল অনবদ্য ইনিংস খেলেন। একটি থ্রোয়ে উইলিয়ামসনের আঙুলে চোট লাগায় মাঠ ছাড়েন। ৭৮ রান করেন তিনি। ড্যারেল মিচেলের ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৪২.৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের হ্যাটট্রিক নিউজিল্যান্ডের।