ব্যারাকপুর : আন্দামানে বসবাস জারোয়া উপজাতির। লুপ্তপ্রায় এই উপজাতি জীবনযাত্রাই মডেলের আকারে তুলে ধরা হচ্ছে নৈহাটির গরিফা রামঘাট চৌমাথার যুব সংঘের পুজোয়। এ বছর গরিফা যুব সংঘের দুর্গাপুজো ৫১ তম বর্ষে পড়ল। বর্তমানে সেই লুপ্তপ্রায় জনজাতির বাসস্থান, অলংকার ছাড়াও শিকার ও খাদ্য সংগ্রহে তারা যেসমস্ত সামগ্রী ব্যবহৃত করে থাকে তা মণ্ডপ সজ্জায় তুলে ধরা হচ্ছে। মণ্ডপে এখানে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হোগলা পাতা, সরখাচি, বেতফুল, নারকেলের মালা, কতবেলের খোল, মালাই কাঠি, লিলিয়াম ফুল ও আইসক্রিমের কাঠি। আর ফাইবার দিয়ে গড়া হচ্ছে জারোয়াদের মডেল।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে লুপ্তপ্রায় সেই জারোয়া গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা তুলে ধরতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির শিল্পী সুখেন্দু শেখর জানা। শিল্পীর কথায়, মণ্ডপ সজ্জায় কেমিক্যাল জাতীয় কিছুই ব্যবহার করা হচ্ছে না। জারোয়ারা সাধারণত পোশাক পরে না। কিন্তু শামুক, কচ্ছপের খোল কিংবা লতাপাতা দিয়ে তৈরি অলংকার তাঁরা পরেন। অলংকার ও ঘরবাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে তারা যেসমস্ত উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন। সেই জাতীয় সামগ্রী দিয়েই তাদের জীবনযাত্রার থিম তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত সরকার বলেন, ‘আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সরকারি মতে জারোয়া উপজাতির সংখ্যা মাত্র ২৫০ থেকে ৪০০ জন। কিন্তু ওদের সচরাচর দেখা যায় না। লুপ্তপ্রায় সেই জারোয়া উপজাতির দৈনন্দিন জীবনযাত্রা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তাদের এই প্রয়াস।’