এক ম্যাচ জিতে স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ। তুলনামূলক ভাবে অ্যাডভান্টেজ ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাঁ হাতেই শেষ বাংলাদেশ। হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ধরমশালায় বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্য়ান্ড। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়ল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করে তারা। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৯৭-৬ এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৮৬-৬ করেছিল ইংল্যান্ড। এ দিন একেক সময় মনে হয়েছিল, ৪০০-র গণ্ডিও পেরিয়ে যেতে পারে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ধরমশালায় সেই ম্যাচে সহজেই জিতেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হারে বেশ বিপর্যস্ত ছিল ইংল্যান্ড। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। গত ম্যাচে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নানা ফাঁক দেখা গিয়েছিল। হয়তো সে কারণেই সাকিব ভেবেছিলেন, অল্প রানে আটকে রেখে তাড়া করার কথা। যদিও বাঁ হাতি ওপেনার ডেভিড মালান এবং তিনে নামা জো রুটের কার্যকর ইনিংস বাংলাদেশকে বড় রকমের ধাক্কা দেয়। কয়েক মাস আগেও বিশ্বকাপে মালানের সুযোগ পাওয়া নিয়েই সন্দেহ ছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০৭ বলে ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস এই ওপেনারের। জো রুট ৬৮ বলে ৮২ এবং জনি বেয়ারস্টো ৫২ রান করেন। বাংলাদেশের স্লো মিডিয়াম পেসার মেহদি হাসান ৪ উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে বাঁ হাতি ডেভিড মালান, বোলিংয়ে বাঁ হাতি রিস টপলি। বাংলাদেশের বিপর্যয়ের দুই কারণ। বোর্ডে ৩৬৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। মইন আলির পরিবর্তে এই ম্যাচে ইংল্যান্ড একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন টপলি। ইনিংসের দ্বিতীয় তথা নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট রিস টপলির। এরপর সাকিব আল হাসানের মূল্যবান উইকেটও তার দখলে। মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এত বড় স্কোর তাড়া করা কার্যত অসম্ভব ছিল। লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমরা চেষ্টা করলেন ম্যাচ যতটা সম্ভব ক্লোজ করা যায়। বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারও কিছুটা অবদান রাখেন। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বাঁ হাতি পেসার রিস টপলি। ১০ ওভারে ১টি মেডেন সহ ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। বাংলাদেশ অলআউট ২২৭ রানেই। ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ে প্রত্যাবর্তন ইংল্যান্ডের।