রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার সচিব পদে লড়তে চলেছেন পৌলমী!

প্রশাসনিক পদে একে একে আসছেন ক্রীড়াবিদরা। গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় খেলাধূলার সঙ্গে এই ছবিটা ট্রেন্ডিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিসিসিআই সভাপতি পদে এসে ভারতীয় খেলার ছবিটা পাল্টে দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এখনও বোর্ডের মসনদে যিনি আছেন, সেই রজার বিনিও একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। হকি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট দিলীপ তিরকে। বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাতেও এখন দেখা যাচ্ছে সেই ছবি। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও রাজ্যের অন্যতম সফল ক্রিকেটার ছিলেন। এ বার প্রশাসনিক পদে লড়তে চলেছেন অলিম্পিয়ান পৌলমী ঘটক। টেবল টেনিসে বাংলার অন্যতম উজ্জ্বল মুখ। জাতীয় পর্যায়ে এক সময় দাপিয়ে বেড়ানো পৌলমীকে এ বার লড়তে দেখা যেতে পারে রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার নির্বাচনে। এই মুহূর্তে বেঙ্গল স্টেট টেবল টেনিস সংস্থার দুই সচিব শর্মি সেনগুপ্ত ও মান্তু ঘোষ। এক রাজ্য এক সংস্থা, এই নির্দেশিকার পরই এক ছাতার তলায় চলে আসে রাজ্যের সমস্ত টেবল টেনিস সংস্থাগুলো। চার বছর আগে রাজ্যের সমস্ত টেবল টেনিস সংস্থাগুলোর এক ছাতার তলায় আনা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থা এবং বেঙ্গল টেবল টেনিস সংস্থার মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধ প্রকাশ্যেও এসেছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি ঠিক হলেও একটা অদৃশ্য দূরত্ব থেকেই গিয়েছে। সমস্ত টেবল টেনিস সংস্থাগুলো এক ছাতার তলায় আসার পর নতুন নাম হয় বেঙ্গল স্টেট টেবল টেনিস সংস্থা (বিএসটিটিএ)। দেশের সমস্ত খেলাতেই কেন্দ্রের স্পোর্টস কোড কার্যকর করা হয়েছে। যে সংস্থাগুলোয় এখনও কার্যকর হয়নি, তারাও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নয়তো নির্বাসনে পড়তে হচ্ছে সংস্থাগুলোকে। দেশের ক্রীড়া বিধি অনুযায়ী, যে কোনও সংস্থার প্রশাসনিক পদে দুটো টার্মের (৮ বছর) পর কুলিং অফে যেতে হবে সেই কর্তাকে। চার বছর কুলিং অফের পর আবার সেই অফিসিয়াল চার বছরের জন্য (একটা টার্ম) সেই সংস্থায় ফিরতে পারেন। রাজ্যের টেবল টেনিস সংস্থার দুই সচিব শর্মি সেনগুপ্ত এবং মান্তু ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনিক পদে রয়েছেন। বেঙ্গল স্টেট টেবল টেনিস সংস্থার সচিব পদে আসার আগে ডব্লুবিটিটিএর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন শর্মি। অন্য দিকে ২০০৫ সাল থেকে উত্তরবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থার প্রশাসনিক পদে ছিলেন মান্তু। ২০১৯ সালে বেঙ্গল স্টেট টেবল টেনিস সংস্থা গঠন হয়েছিল। এ বছরের ১১ নভেম্বরই মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই কমিটির। তার আগেই সংস্থার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সচিব পদে লড়াইয়ের জন্য ভাসছে পৌলমী ঘটকের নাম। স্বামী সৌম্যদীপের সঙ্গে যৌথ ভাবে টেবল টেনিস অ্যাকাডেমি চালান পৌলমী। এশিয়ান গেমসে পদকজয়ী সুতীর্থা-ঐহিকা আবার তাঁদেরই অ্যাকাডেমির ছাত্রী। এ ছাড়া রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক পৌলমীর। বাংলার টেবল টেনিসেও অন্যতম মুখ। পৌলমীকে সচিব হিসেবে চাইছেন সংস্থার অনেকেই। পুজোর পরই রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থার নির্বাচনে দামামা বাজলে অবাক হওয়ার থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 4 =