বিরাট জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু প্রোটিয়াদের। বোর্ডে বিশাল রান। বোলারদের দারুণ শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ই প্রত্যাশিত ছিল। অপেক্ষা বাড়ালেন চরিত আসালঙ্কা। অধিনায়ক দাসুন শানাকা সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তবে ৪২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতার জন্য অস্ত্র শ্রীলঙ্কার হাতে ছিল না। শ্রীলঙ্কার সাহসী ব্যাটিং প্রশংসা পাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ হলেও হার এড়ানো সম্ভব ছিল না। শেষ অবধি ৩২৬ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। ১০২ রানে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। সদ্য ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দু-ম্যাচ হেরে পিছিয়ে ছিল। সেখান থেকে অনবদ্য প্রত্যাবর্তন। এর মধ্যে চতুর্থ ম্যাচে ৪১৬-র বিশাল স্কোর গড়েছিল প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপের শুরুতে একই মেজাজে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ঝাঁক রেকর্ডও গড়ল তারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি, ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি এবং সর্বাধিক স্কোর। আরও একটা রেকর্ডে নজর ছিল প্রোটিয়াদের। বিশ্বকাপে রানের নিরিখে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে ২৭৫ রানে হারিয়েছিল অজিরা। একটা সময় মনে হয়েছিল এই রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এই সিদ্ধান্ত যে কত বড় ভুল, বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি। তাঁর দলে দুই সেরা স্পিনার নেই। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। মহেশ থিকসানা প্রথম ম্যাচে নেই। আগে ব্যাট করে বোর্ডে বড় রান তুলে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ করাটাই হয়তো শ্রেয় ছিল। কেরিয়ারের শেষ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ প্রোটিয়া কিপার ব্যাটার কুইন্টন ডি’ককের। আগেই ঘোষণা করেছে, বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্যাটে অবসর নেবেন। বড় মঞ্চে শুরুতেই জ্বলে উঠলেন। তাঁর গড়া ভিতে তাণ্ডব প্রোটিয়া ব্যাটারদের। কুইন্টন ডি’কক, এইডেন মার্কর্যাম এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের সেঞ্চুরি। শেষ দিকে ২১ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৫০ ওভারে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। নজর ছিল শ্রীলঙ্কার তরুণ পেসার জুনিয়র মালিঙ্গার দিকে। বিশ্বকাপ অভিষেকে ১০ ওভারে ৯৫ রান দিয়ে ১ উইকেট তাঁর দখলে। শ্রীলঙ্কার আর এক পেসার দিলশান মধুশঙ্কা ২ উইকেট নিলেও ৮৬ রান দিয়েছেন। পরের ম্যাচে মহেশ থিকসানা ফিরলে হয়তো এই বোলিং লাইন আপই ঘুরে দাঁড়াবে!