জ্যোতি সুরেখা, অদিতি গোপীচাঁদ ও পরনীত কৌররা যা করেছিলেন, সেই পথেই হাঁটলেন ছেলেরা। কম্পাউন্ড আর্চারির টিম ইভেন্ট থেকে এল আরও এক সোনা। সকালে জ্যোতিদের সোনার সাফল্যের পরই আবার হানঝাউ থেকে ২০তম সোনা জিতেছেন দীপিকা পাল্লিকল ও হরিন্দরপাল সিং। স্কোয়াশের মিক্সড ডাবলসে প্রথম সোনার সাফল্য নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দিনের তৃতীয় সোনা অভিষেক ভার্মা, ওজেস প্রবীণ দেওতলে ও প্রথমেশ জওকারের। দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে আবার সোনা জিতলেন তাঁরা। জ্যোতি যেমন কম্পাউন্ড আর্চারির টিম ইভেন্টে জোড়া সোনা ফলিয়েছেন, প্রবীণ দেওতলেও তাই। মিক্সড ইভেন্ট থেকে সোনা পাওয়ার পর টিম ইভেন্ট থেকেও পেলেন। প্রবীণের সামনে রয়েছে আরও এক সোনার হাতছানি। যদি ফাইনালে অভিষেক ভার্মাকে হারাতে পারেন, তা হলে সোনার হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে তাঁর। কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে, চিন, জাপানকে পিছনে ফেলে কম্পাউন্ড আর্চারিতে এখন বিশ্বের এক নম্বর টিম ভারত। ধারাবাহিক সাফল্য, ইতালির বিখ্যাত কোচ, সাফল্যের খিদে শীর্ষে তুলে দিয়েছে ভারতীয়দের। অভিষেক, প্রবীণ, প্রথমেশরা যে চূড়ান্ত ফর্মে আছেন, তা বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছেন। কোরিয়ান আর্চারদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সিরিজটাতে শুধু সমস্যায় ছিলেন ভারতীয় আর্চাররা। প্রথম সিরিজে কোরিয়া ৩০এর মধ্যে ২৮ তোলে। ভারতের ছিল ২৯। ওই লিড একবারও হারাননি ভারতীয়রা। দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন প্রবীণ ও অভিষেক। প্রথমেশ শুরুতে একটু সমস্যায় ছিলেন। ফাইনালের চাপ নিতে পারছিলেন না হয়তো। কিন্তু তিনি দ্রুত সামলে নিয়েছিলেন পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত ২৩৫-২৩০এ ফাইনাল জেতেন অভিষেকরা। ৫ পয়েন্টের ফারাক নিয়ে ফাইনাল জয় প্রবীণদের দাপটই তুলে ধরছে। কম্পাউন্ড আর্চারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৩টে সোনা এসেছে ভারতের। মোট ২১টা সোনায় বিরাট অবদান রেখেছেন জ্যোতি-অদিতি-প্রবীণ-অভিষেকরা। আরও একটা সোনা ও দুটো রুপো আসছেই। মোট ছ’টা পদক ফলানো ইভেন্ট এশিয়ান গেমসে খুব কম রয়েছে। ১০০টা পদকের বেড়া কি টপকাতে পারবে ভারত? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।