নেতাজিনগরে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় শহরেরই বেসরকারি এক নার্সিংহোম। আর এই ঘটনায় সরব মৃতের পরিবারের সদস্যরা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বছর পনেরোর নীলাদ্রি মান্নাকে ভর্তি করা হয় সংশ্লিষ্ট ওই নার্সিংহোমে। পরিবারের অভিযোগ, এরপর যথাযথ পরিষেবা না মেলার কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের ছেলের।
মৃতের পরিবার সূত্রে এও জানা গেছে, মঙ্গলবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নীলাদ্রিকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্য়রা। বিকেল চারটে নাগাদ নাবালককে জেনারেল বেডে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, এরপর বুধবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ চিকিৎসক ওই কিশোরকে দেখতে এসে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হবে। তবে পরিবারের তরফে নীলাদ্রিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই নার্সিংহোমের তরফে রিস্ক বন্ডেও সই করতে বলা হয় বলে দাবি মৃতের পরিবারের। এদিকে, যে চিকিৎসক নীলাদ্রিকে দেখছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন সাইক্রিয়াটিক ও কার্ডিওলজি ডাক্তার প্রয়োজন। পরিবারের অভিযোগ, সন্ধ্যে ছ’টা বেজে গেলেও না সাইক্রিয়াটিক বা কার্ডিওলজি কোনও ডাক্তারই ওই কিশোরকে দেখতে আসেননি। এরপর বুধবার রাতে মৃত্যু হয় নীলাদ্রির। এই ঘটনার পরই নার্সিংহোম চত্বরে দেখা দেয় উত্তেজনা। তা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নেতাজিনগর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই তাঁদের বাড়ির ছেলের।
মৃত কিশোরের মা গোপা মান্না জানান, ‘ওর গায়ে হালকা জ্বর ছিল। সেই অবস্থায় ভর্তি করাই নার্সিংহোমে। যে চিকিৎসক ওকে দেখছিলেন তিনি জানান সাইক্রিয়াটিক ও কার্ডিওলজি ডাক্তার দেখাতে হবে। এরপর জানলাম আমার বাচ্চার অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। ওকে আইসিইউতে দেওয়া হয়েছে। আমরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলাম। এখানকার ডাক্তার বলল স্থানান্তরিত করতে হলে রিস্ক বন্ডে সই করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ ভয়ে আর অন্য কোথাও নিয়ে যাইনি। পরে শুনছি কোনও ডাক্তারই ছেলেটাকে দেখতে আসেনি।’ এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।