হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল

ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির মুহূর্ত ফিরিয়ে দিলেন ক্লেটন সিলভা। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ। ড্র দিয়ে এ বারের আইএসএল মরসুম শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ দিন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাত্র ৮ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ার হতাশা। তবে সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি লাল হলুদ। গত মরসুমের নায়ক ক্লেটন সিলভা ২ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান। এ মরসুমে তাঁকে বেশির ভাগ ম্যাচেই বেঞ্চে থাকতে হয়েছে। এ দিন শুরু থেকে নামলেন। শুরু করলেন, কমপ্লিটও করলেন ক্লেটন। ২-১ ব্যবধানে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএলে প্রথম জয়। ক্লেটন সিলভার জোড়া গোল। নতুন মরসুমে নতুন ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে ভালো পারফর্ম করেছিল। যদিও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আইএসএলে মরসুমের প্রথম ম্যাচে ড্র। ফিনিশিংয়ের অভাব খুব ভালো ভাবেই টের পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক সুযোগ তৈরি হলেও গোল হয়নি। প্রথম ম্যাচের পর কার্লেসকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, ক্লেটন কি ফিট নন? ইস্টবেঙ্গল কোচ পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, প্রথমত ক্লেটনকে ফুল ফিট হওয়ার জন্য সময় দিচ্ছেন, দ্বিতীয়ত কম্বিনেশনও দেখে নিচ্ছেন। এ দিনের কম্বিনেশনে বদল। ক্লেটন প্রথম একাদশে। গত বারের নায়ক বুঝিয়ে দিলেন, ফুল ফিট থাকলে তাঁকে রোখা কঠিন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা তো এটাই চান! হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়া যেন তাতিয়ে দিয়েছিল। ২ মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করেন ক্লেটন। এরপর সেই গোল নষ্টের পালা। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হতাশ করলেন সিভেরিও। একাধিক সুযোগ নষ্টের পর মনে হয়েছিল, এই ম্যাচেও হয়তো এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অ্যাডেড টাইমে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। এ দিন ক্যাপ্টেন্স আর্ম ব্যান্ড পরে নেমেছিলেন। দায়িত্বও পালন করলেন। অ্যাডেড টাইমে অনবদ্য ফ্রি-কিক। জালে জড়াতেই বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড লাফিয়ে গ্যালারির দিকে এগিয়ে যান ক্লেটন। কানের দু-পাশে হাত রেখে সমর্থকদের বার্তা-গর্জন এত কম কেন! গ্যালারিতে ততক্ষণে জয়ের উৎসব। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অনেকেই জার্সি খুলে ওড়াতে থাকেন। ক্লেটনের লাফে অবশ্য ডাগআউটে আতঙ্কও ধরে। যে ভাবে লাফালেন, চোট না পেলেই হল। তবে জয়ের আনন্দ কি আর বাঁধ মানে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 3 =