কলকাতা: স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ফোন না থাকায় কাউকেই খবর দিতে পারেননি স্ত্রী। সারারাত দেহ আগলে বসে থাকলেন প্রৌঢ়া! খবর পেয়ে বাড়ি এসে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে বেহালা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বেহালার শিশিরবাগানের বছর আশির শঙ্কর চক্রবর্তীর মৃত্যু হয় শুক্রবার রাতে। বছর বাড়িতে ছিলেন কেবল তাঁর স্ত্রী। বৃদ্ধার দাবি, তাঁর একমাত্র মোবাইলটি খারাপ। শুক্রবার সন্ধ্যায় অনেকের কাছে মোবাইল চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ দেননি। তাই স্বামীর মৃত্যুর খবর জানাতে পারেননি। কী করবেন ভেবে না পেয়ে সারারাত স্বামীর দেহ আগলে বাড়িতে বসে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। সকাল হতেই বৃদ্ধ দম্পত্তিকে বাড়ির বাইরে বের হতে না দেখেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারপরই খোঁজ খবর শুরু করেন তাঁরা। পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেহালা থানার পুলিশ। তারাই দেহ উদ্ধার করে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রতিবেশীদের দাবি, ওই বৃদ্ধার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই।
এদিকে কলকাতা হোক বা শহরতলি, এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এখন সব ছোট ছোট পরিবার। বহু পরিবারেই বয়স্ক দম্পতি নিজেরা থাকেন। সন্তানরা কাছে পিঠে থাকে না। এদিকে বয়স হলে, দু’জনের একজন মারা গেলে অনেকেই আর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন না। অনেকের বাড়িতে দেখা যায় বাবা অথবা মায়ের সঙ্গে বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে বা মেয়ে থাকেন। পরিবারের কেউ মারা গেলে তাঁদের পক্ষেও খবর দেওয়া সম্ভব হয় না বা কী করতে হবে বুঝে উঠতে পারেন না। এই ধরনের ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে। যা নিয়ে ভাবার দরকার রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।