১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮। টানা ৫ বছর কলকাতা লিগ জিতেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। এরপর লিগ জিতলেও, জয়ের হ্যাটট্রিক হয়নি। ৮৫ বছর পর আবার কলকাতা লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করল মহমেডান স্পোর্টিং। সুপার সিক্সের ম্যাচে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে হারিয়ে কলকাতা লিগ ঘরে তুলল সাদা-কালো শিবির। দু’বছর আগে কোভিড পরবর্তী সময়ে লিগ জিতেছিল মহমেডান। সেবার অবশ্য লিগে খেলেনি ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান। গত বছর ইস্টবেঙ্গল লিগে খেললেও, মোহনবাগান খেলেনি। এ বার বাকি দুই প্রধান খেললেও, তাদের ম্লান করে দিয়ে লিগ ঘরে তুলল মহমেডান। ১৯৮১ সালে যেবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহমেডান, সেবার বাকি দুই প্রধানই খেলেছিল। মাঝের দীর্ঘ খরা কাটিয়ে দু’বছর আগে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রেড রোডের পাশের ক্লাব। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে মোহনবাগানকে উড়িয়ে লিগের সেরা ডেভিড, তন্ময়রা। প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটাতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন সাদা-কালো সমর্থকরা। তাঁদের নিরাশ করেননি ফুটবলাররা। লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাদা-কালো সমর্থকদের মুখে ‘জান জান মহমেডান’। খেলার ১৩ মিনিটেগোল করে মহমেডানকে ১-০ এগিয়ে দেন লালরেমসাঙ্গা। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন ডেভিড। শুধুমাত্র দেশিয় ফুটবলারদের নিয়েই কলকাতা লিগ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর থেকেই ঘরোয়া লিগের ফরম্যাট পাল্টে গিয়েছে। সেই জায়গায় ডেভিড, লালরেমসাঙ্গা, তন্ময়রা ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের লক্ষ্যে অল আউট ঝাঁপায় মোহনবাগান। সাদা-কালোর আটোসাটো রক্ষণের সামনে গোল পরিশোধে ব্যর্থ হয় সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। রক্ষণ অটুট রেখেই মাঠ ছাড়ে আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা। কলকাতা লিগের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ড্র করেছিল মহমেডান। সুপার সিক্সে সেই বদলা নিল সাদা-কালো। একই সঙ্গে লিগ ঘরে তুলল। চের্নিশভের নজরে এ বার আই লিগ। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হলেই যে মিলবে আইএসএল খেলার বহুপ্রতীক্ষিত ছাড়পত্র!