ফের কলকাতায় ডেঙ্গির বলি ১৭ বছরের এক কিশোর। সূত্রে খবর, বউবাজারের বাসিন্দা ছিল সে। মিন্টো পার্কের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। জ্বর নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। বৃহস্পতিবার বিকালে মৃত্যু হয় তার। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার, সেপ্টিক শকের উল্লেখ করা হয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে। এদিকে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের দত্তাবাদেরও এক বাসিন্দা ডেঙ্গির বলি হন ৫২ বছর বয়সি প্রতিমা মণ্ডল। বিধাননগর পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমে মৃত্যু হয় তাঁর। এর আগে বিধাননগরেরই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন মারা যান ডেঙ্গিতে। এক সপ্তাহে নতুন করে আরও অন্তত ছয় হাজার ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলল রাজ্যে। শুধু সরকারি ক্ষেত্রেই নতুন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯২৮ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে নদিয়াকে টপকে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ। ভাল নয় উত্তর ২৪ পরগনার ছবিটাও। ৭ দিনে ১০ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্তের সংখ্যা শুধু এই জেলাতেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গির মিউটেশন হয়েছে কি না এবার বোধহয় তা দেখার সময় এসেছে। একটা ভাইরাস প্রায় এক দশকের বেশি সময় একই জায়গায় রয়েছে এবং যথেষ্ট দাপটের সঙ্গেই আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অস্তিত্ব বাঁচাতে চেহারা বদলাচ্ছে এডিস ইজিপ্টাই মশা। ডেং-১, ডেং-২, ডেং-৩, ডেং-৪ চারটে স্ট্রেনের মধ্যে ডেং-৩-এর আধিক্য এ রাজ্যে বেশি।