২০১৬ সালে শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে পা দিয়েছিল পাকিস্তান টিম। সাত বছর পর আবার বিশ্বকাপ খেলতেই ওয়াঘার এ পারে এল গ্রিন আর্মি। ভিসা পেতে দেরি হলেও বাবর আজমরা হায়দরাবাদে পা দিয়েছেন বুধবার রাতে। দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ানদের স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। যা দেখে বেশ অপ্লুত বাবররা। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচ। নিরাপত্তার কারণে শূন্য গ্যালারিতে হবে ওই ম্যাচ। ভারতে পা রাখার ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই নেটে নেমে পড়েছেন পাকিস্তানিরা। বুধবার রাতে হায়দরাবাদে পা দিয়ে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রেনিংয়ের পর যে খাবার বাবর-শাহিনদের দেওয়া হয়েছে, তাতে রসনা তৃপ্তিতে কোনও সমস্যা হয়নি। বিশ্বকাপে যে ১০টা টিম অংশ নিচ্ছে, তাদের জন্য লাঞ্চ বা ডিনার প্লেটে গরুর মাংস থাকছে না। তার বদলে খাসি, মুরগির মাংস, মাছ মিলবে রোজকার মেনুতে। হায়দরাবাদে পা দিয়ে কিন্তু খাবারের থালা দেখে মন ভরে গিয়েছে পাক ক্রিকেটারদের। ভেড়ার মাংসের চপ, মাটন কারি সেই সঙ্গে বাটার চিকেন ও গ্রিলড ফিশ। পাকিস্তান টিম শহরে পা দেওয়ার পর জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা কী কী পদ চান খাবার টেবলে। বলা হয়েছিল, বাসমতি চালের ভাত, স্প্যাগেটি ব্লংনেজ় সস এবং ভেজ পোলাও। আর মাঝে মাঝে মুখ বদলের জন্য বিখ্যাত হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। ভারতে পা রেখেই কিন্তু বিরিয়ানির স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন বাবররা। ঠাসা ক্রীড়াসূচির মধ্যে আগামী দেড়টা মাস কাটাতে হবে বাবরদের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন তাঁরা। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে অত্যন্ত সফল টিম পাকিস্তান। কিন্তু এশিয়া কাপে বিপর্যয়ের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। ড্রেসিংরুমের ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল মিডিয়ায়। এই খবর ধামাচাপা দিতে আসরে নামতে হয়েছিল ক্যাপ্টেন বাবরকে। আপাতত পাক টিমের পুরো ফোকাস বিশ্বকাপেই।