এশিয়ান গেমসে শেষ ষোলোতেই বিদায় ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দলের। টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল চিনের কাছে ১-৫ ব্যবধানে হার দিয়ে। সেই ম্যাচে বিরতিতে স্কোর লাইন ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল হজম। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পরের ম্যাচে জিততেই হত। সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টি গোলে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে হারায় ব্লু টাইগার্সরা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মায়ানমারের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ড্র। তবে এই ড্র-য়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছিল ভারত। দীর্ঘ ১৩ বছরের ব্যবধানে এশিয়ান গেমসের নকআউটে জায়গা করেছিল ভারতীয় ফুটবল টিম। কিন্তু এই পর্বে লড়াইটা সহজ ছিল না। সৌদি আরবের কাছে ০-২ ব্যবধানে হার এবং বিদায় সুনীলদের। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর এশিয়ান গেমসে সুযোগ মিলেছিল ভারতীয় ফুটবল টিমের। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, এশিয়ান গেমসের টিম ইভেন্টে সুযোগ পেতে হলে এশিয়ার মধ্যে প্রথম আটে থাকতে হবে। ভারতীয় দল ছিল ১৮ নম্বরে। গত এক বছরে ভারতীয় ফুটবল টিম অনবদ্য পারফর্ম করেছে। ঘরের মাঠে তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়। ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ নিজেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন, এশিয়ান গেমসে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। অবশেষে ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। ফুটবলার ছাড়া নিয়েও ক্লাব এবং ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব ছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে ফুটবলার ছাড়তে নারাজ ছিল আইএসএলের দলগুলি। তিনজন সিনিয়র প্লেয়ারকে খেলানোর সুযোগ ছিল। অনেক চেয়েচিন্তে পাওয়া গিয়েছিল সুনীল ছেত্রীকে। শেষ মুহূর্তে পাওয়া যায় সন্দেশ ঝিঙ্গানকে। কার্যত বিনা প্রস্তুতিতেই টুর্নামেন্টে নামতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। গ্রুপ পর্ব কোনওরকমে উতরে গেলেও শেষ ষোলোয় ছিল সৌদি আরবের মতো কঠিন প্রতিপক্ষ। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল সৌদি। এ দিন ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২ গোল করে তারা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি সুনীলরা। ভারতের গোলরক্ষক ধীরজ সিং বেশ কিছু সেভ করেন। নয়তো হারের ব্যবধান বাড়তে পারতো।