প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গঙ্গায় ঝাঁপ, নিখোঁজ যুবক

ব্যারাকপুর :প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গঙ্গায় ঝাঁপ যুবকের। বন্ধুকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি গঙ্গায় ঝাঁপ দেন আর এক যুবক। যদিও বন্ধুকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া যুবকের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে জগদ্দল ফেরিঘাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম প্রমোদ চৌধুরী ওরফে ঋত্বিক (২০)। তাঁর বাড়ি ভাটপাড়া থানার সুগিয়া পাড়ায়। টোটো চালাতেন প্রমোদ। জানা গিয়েছে, প্রমোদ-সহ আরও চার বন্ধু-বান্ধবী মিলে চন্দননগর বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘোরাঘুরি সেরে তাঁরা ফের লঞ্চে চেপে জগদ্দল ফেরিঘাটে আসে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ফেরিঘাটে বসেই কোনও একটি বিষয় নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে প্রমোদের কথা কাটাকাটি হয়। সেইসময় জগদ্দল ফেরিঘাট ছেড়ে একটি লঞ্চ ওপারে চন্দননগরে যাচ্ছিল। আচমকা প্রমোদ ছুটে ওই লঞ্চে উঠে পড়ে। বিপদ বুঝে পিছু ছুটে গিয়ে সেই লঞ্চে ওঠেন তাঁরই বন্ধু নীতিশ পাসোয়ান। ঘাট থেকে কিছুটা লঞ্চ এগোতেই আচমকা গঙ্গায় ঝাঁপ দেন প্রমোদ। বন্ধুকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন নীতিশও। কিন্তু প্রমোদের কোনও খোঁজ মেলেনি। স্রোতে নিখোঁজ ওই যুবক।
নিখোঁজ যুবকের বান্ধবীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিখোঁজ যুবকের পরিবারের অভিযোগ, প্রমোদকে বাঁচাতে ওঁর এক বন্ধু গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেও, লঞ্চের তরফ কেউই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। নিখোঁজ যুবকের দিদি নন্দিনী চৌধুরীর দাবি, ভাইয়ের গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় প্রিয়াঙ্কা নামে একটি মেয়েই দায়ী। নন্দিনীর অভিযোগ, ওকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা ফোন ধরেনি। এদিকে জগদ্দল ফেরিঘাটে এসে ভাটপাড়ার বারুইপাড়ার মিঠেতলাব এলাকার বাসিন্দা লীলা দেবী জানান, তাঁর ছেলে নীতিশ ওঁর বন্ধুকে বাঁচাতে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়। উল্টে পুলিশ তাঁর ছেলেকে আটকে রেখেছে। লীলা দেবীর দাবি, তাঁর ছেলে নির্দোষ। নিজের জীবন বাজি রেখে ছেলে ওঁর বন্ধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। এদিকে জগদ্দল থানার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান মেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 14 =