বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এক গোলে জিতল মোহনবাগান

ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় জয়। আইএসএলের দশম সংস্করণে জোড়া জয়ে স্বস্তিতে মোহনবাগান। রেজাল্ট স্বস্তির হলেও কোচ হুয়ান ফেরান্দোর জন্য পুরোপুরি নাও হতে পারে। তিনি চেয়েছিলেন ভুল ত্রুটিহীন ফুটবল। প্রথম ম্যাচে ৩-১ ব্যবধানে জয়ের পর বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাত্র এক গোলে জয়। আক্রমণ ভাগ এক ঝাঁক সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং ঠিক হল না মোহনবাগানের। বেঙ্গালুরু এফসি হার দিয়ে মরসুম শুরু করেছিল। নিজেদের ভুলেই কোচিতে ডুবেছিল তারা। মোহনবাগানের কাছে পিছিয়ে পড়তেই যেন দিশেহারা হয়ে যায়। জোড়া লাল-কার্ডে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু এফসি। ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের মরিয়া চেষ্টা মোহনবাগানের। একটা গোল পেলে আর একটার রাস্তা দ্রুতই খোলে। গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নিজেদের ভুলেই জোড়া গোল খেয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। সবুজ মেরুনের বিরুদ্ধে তাই অতি সতর্ক। বেঙ্গালুরুর এফসির বিরুদ্ধে বাড়তি তাগিদ নিয়ে খেলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। এই ম্যাচেও গোলের খোঁজে মরিয়া চেষ্টা করেন। অবশেষে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোলের দেখা মেলে। টিম গেমেই গোল। এ ক্ষেত্রেও কিছুটা ভুল রয়েছে বেঙ্গালুরুর। সুযোগ নিতে ভুল করেনি সবুজ মেরুন। প্রতিপক্ষ শিবিরে লম্বা বল এসেছিল মোহনবাগান মাঝমাঠ থেকে। বেঙ্গালুরু ডিফেন্স তা ব্লকও করেন। কিন্তু বল রিসিভ ঠিকঠাক হল না। সামনে ছিলেন জেসন কামিংস। পাস করেন হুগো বোমাসকে। এত সুন্দর সুযোগ কোনও ভাবেই মিস করেননি মোহনবাগানের এই মিডফিল্ডার। তাঁর গোলে অবশেষে লিড নেয় মোহনবাগান। এক গোল পেতেই আরও মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। চাপ বাড়ে প্রতিপক্ষ মিডফিল্ড ও রক্ষণে। পেত্রাতোসকে আটকানোর অবৈধ চেষ্টায় জোড়া হলুদ তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বেঙ্গালুরুর সুরেশ সিং। ৭৫ মিনিটে ১০ জনে জয়ে যায় তারা। আবারও সেই দিমিত্রি আটকানোর ভুলের খেসারত দিতে হয়। অ্যাডেড টাইমে নাওরেম রোশন বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখেন। তখনও ম্যাচের প্রায় ৫ মিনিট বাকি। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে ওডিশা এফসিকে ৪-০, আইএসএলে মরসুমের প্রথম ম্যাচে ৩-১। আজ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জয় মোহনবাগানের উন্নতি নাকি…। ফেরান্দোর প্রত্যাশা আরও বেশি। গত বারের চ্যাম্পিয়ন বলে কথা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − six =