বিশ্বকাপের তোড়জোড় অনেক আগেই শুরু হয়েছে। বেশ কিছু টিম ইতিমধ্যেই পা রেখেছে ভারতে। ৫ অক্টোবর মূল টুর্নামেন্ট শুরু। তার আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ রয়েছে দুটি করে। ঘরের মাঠে টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে নিজেদের আরও একটু পরখ করে নেওয়ার সুযোগ ছিল। মোহালি এবং ইন্দোরে টানা জিতে সিরিজ আগেই দখলে করেছিল ভারতীয় দল। যদিও অস্ট্রেলিয়াকে ক্লিন সুইপ করা হল না। বিরাট-রোহিতদের ফেরার ম্যাচে দলের হার। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় অস্ট্রেলিয়ার। গত দু-ম্যাচের হতাশা ঝেড়ে ফেলে ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী মেজাজ দেখা গেল অস্ট্রেলিয়াকে। ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রান যোগ করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। অর্ধশতরানের পরই ফেরেন ওয়ার্নার। মিচেল মার্শ সেঞ্চুরির দিকে এগচ্ছিলেন। কুলদীপ যাদবের বোলিংয়ে কভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেনও অনবদ্য। ভারতকে ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় অজিরা। শুভমন গিলকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ওপেনিংয়ে বিকল্প ঈশান কিষাণও অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোহিতের সঙ্গে কে ওপেন করবেন, সে দিকে বাড়তি নজর ছিল। ওয়াশিংটন সুন্দরকে ওপেনিংয় সঙ্গী বেছে নেন রোহিত শর্মা। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ৩০টা ডেলিভারি খেললেও আউট হন ১৮ বলে। সেখানেই অনেকটা পিছিয়ে পড়ে ভারত। পরিস্থিতি সামাল দেন রোহিত ও বিরাট। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনের ফাঁদে দুই তারকা। ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়েই ফেরেন রোহিত। মাত্র ৫৭ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ম্যাক্সওয়েলের শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে স্টিভ স্মিথের ক্যাচে ফেরেন বিরাট। ৬১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস বিরাটের। কিন্তু মিডল অর্ডার চাপ নিতে ব্যর্থ। পরপর উইকেট হারাতে থাকে, প্রয়োজনীয় রানরেটও বাড়তে থাকে। শেষ অবধি ৪৯.৪ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট ভারত।