হাইস্কোরিং ভেনু। ওডিআই ক্রিকেটে ভারতের সর্বাধিক স্কোর ইন্দোরেই। সেই মাঠে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটারদের খাবি খাওয়ালেন অশ্বিন। ডেভিড ওয়ার্নারের খোঁচাই যেন বেশি তাতিয়ে দেয় অশ্বিনকে। অস্ট্রেলিয়াকে তো খেসারত দিতেই হল, চাপে পড়লেন ঈশান কিষাণও। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে লোকেশ রাহুল টিমে ফিরেছিলেন। এরপর থেকে কিপিং করছিলেন রাহুলই। তিনি মাঠে না থাকলে সে সময় কিপিং করতে ঈশান। ইন্দোরে ঈশান কিষাণ কিপিং করেন। অশ্বিনের কিছু অনবদ্য ডেলিভারি ধরতেই পারলেন না। অশ্বিন এই ফর্মে থাকলে কিপার লোকেশ রাহুলের ওপর ভরসা করা যাবে তো! ইন্দোরে ভারতীয় ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপট। অস্ট্রেলিয়ার হারের ব্যবধান কমান লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স না খেলায় ইন্দোরে নেতৃত্ব দেন স্টিভ স্মিথ। তবে ভারতের দুই ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার এবং শুভমন গিল তাঁকে ব্যাপক চাপে ফেলেন। এই জুটির বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ফিল্ডিং পরিকল্পনা ঘেঁটে যায় অস্ট্রেলিয়ার। শুভমন-শ্রেয়সের সেঞ্চুরির পাশাপাশি লোকেশ রাহুলের হাফসেঞ্চুরি। বিধ্বংসী ব্যাটিং সূর্যকুমার যাদবের। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি সূর্যর ব্যাটে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৯৯ রান করে ভারত। অজি ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরপর দু-বলে প্রসিধ কৃষ্ণার জোড়া ধাক্কা। ওপেনার ম্যাথু শর্টকে ফেরান। পরের বলেই স্টিভ স্মিথ গোল্ডেন ডাক। ইনিংসে ৯ ওভার শেষেই ৫৬-২ স্কোরে ফের বৃষ্টি নামে। ওভার কমতে শুরু করে। রাত ৮.৩৫ নাগাদ ম্যাচ পুনরায় শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ৩১৭ রান। একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৮৯-২। অশ্বিন-জাডেজা দাপটে দ্রুতই তা ১৪০-৮ হয়ে যায়। এরপর বিনোদনের জুটি জশ হ্যাজলউড এবং শন অ্যাবটের। ওয়ান ডে ফরম্যাটে প্রথম হাফসেঞ্চুরি শন অ্যাবটের। না হলে আরও আগেই অজি ইনিংস গুটিয়ে যেত। এই জুটি ভাঙেন মহম্মদ সামি। তাঁর ইয়র্কারে হ্যাজলউডের উইকেট ভাঙে। পরের ওভারেই ইনিংস ইতি করেন জাডেজা। অশ্বিন-জাডেজা তিনটি করে উইকেট নেন। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শার্দূল ঠাকুর একটি করে ক্যাচ ফসকান। ঋতুর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফ্লাড লাইট। ঠিকঠাক বল দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু শার্দূল ঠাকুর হাতের ক্যাচ ফেলেন। ডাকওয়ার্থ লুইসে ভারতের ৯৯ রানের জয়ে অস্বস্তি হয়ে থাকল ফিল্ডিং। টানা দু-ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও জিতে নিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মিলিয়ে ওডিআইতে টানা পঞ্চম ম্যাচে হার অস্ট্রেলিয়ার।