সদ্য এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে অষ্টম ট্রফি জয়। লক্ষ্য এ বার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। তারই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। দল প্রস্তুত, পরীক্ষার আগে শেষ মুহূর্তে পড়া ঝালিয়ে নেওয়ার পালা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সে কারণেই তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ। বেশ কিছু বিষয়ে নজর টিম ইন্ডিয়ায়। প্রথম দু-ম্যাচে বিশ্রামে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়ারা। ফলে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা বাকিদের জন্য দারুণ সুযোগ। কেউ কাজে লাগাতে পারলেন, কেউ নয়! ভারত জিতল ৫ উইকেটের ব্যবধানে। প্রাপ্তি ‘ফিনিশার’ সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু জয় থেকে সামান্য দূরে আউট হওয়াটা যেন তাঁকেও বিরক্তিতে রাখবে। সাদা বলের ক্রিকেটে একাদশে আর অটোমেটিক চয়েস নন মহম্মদ সামি। বুমরার সঙ্গে সিরাজকে খেলানো হচ্ছে। সঙ্গে দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপে বুমরার অনুপস্থিতিতে নেপাল ম্যাচে একাদশে ছিলেন সামি। মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একাদশে প্রত্যাবর্তন। আর ফিরেই ধামাকা করলেন সামি। পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ফরম্যাটে প্রথম বার পাঁচ উইকেট। অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৬ রানে অলআউট করে ভারত। হতাশাজনক বোলিং শার্দূল ঠাকুরের। রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু ভারতের। শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই হাফসেঞ্চুরি তাঁর ব্যাটে। তবে বাড়তি আকর্ষণ ছিল শুভমনকে ঘিরে। নিজের হোম গ্রাউন্ডে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস। তবে ভারতীয় শিবিরে চূড়ান্ত স্বস্তি এল সূর্যকুমার যাদবের জন্য। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রয়েছেন সূর্য। কিন্তু ওয়ান ডে ফরম্যাটে তাঁর ব্যাটিং ভরসা দিতে পারছিল না। আজ কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নামলেন। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দুর্দান্ত একটা জুটি গড়লেন কেরিয়ারের তৃতীয় ওডিআই হাফসেঞ্চুরি সূর্যর। ২০ ইনিংস পর! এর থেকেই পরিষ্কার কতটা চাপ থেকে ফিরলেন স্কাই। বিশ্বকাপের আগে চাপ কিছুটা কমল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টেরও।