ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই চিন সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার এমনটাই জানাল রাশিয়া। সূত্রের খবর, চিনের কাছে সামরিক সাহায্য চাইতেই তাঁর এই সফর। এছাড়া, পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়াও এই সফরের উদ্দেশ্য বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এর পর থেকে আর বিদেশ সফর করতে দেখা যায়নি তাঁকে। নয়াদিল্লিতে সদ্যসমাপ্ত জি-২০ সম্মেলনও এড়িয়ে যান পুতিন। এই প্রেক্ষাপটে আগামী অক্টোবরেই চিনে যাচ্ছেন পুতিন। বৈঠকে বসবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ জানিয়েছেন, পশ্চিমি দেশগুলো চিন ও রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে চাইছে। তাই মস্কো ও বেজিংয়ের উচিৎ নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও মজবুত করা।
ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুতিনের চিনে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। এর আগে আমেরিকাকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন। সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফরে রাশিয়া-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। অন্যদিকে, যুদ্ধের ময়দানে চিনকে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। ফলে পুতিন-জিনপিং সাক্ষাতের পর বাইডেন প্রশাসন কী বার্তা দেয় সে দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।