ভারত সোনার খনি, প্রতিভার অভাব নেই, বলছেন ওয়েঙ্গার

প্রতিভার অভাব নেই। প্রতিভাবান ফুটবলারদের তালিকা তৈরি করতে পারলে ভারতের উন্নতি রোখা যাবে না। কিন্তু প্রতিভা খুঁজে বের করা কঠিন। এবং এই সাংগঠনিক খামতি পূরণ না হলে ফুটবল খেলিয়ে দেশ হিসেবে ভারতের উন্নতি সম্ভব নয়। এই গোড়ার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন আর্সেনালের প্রাক্তন কোচ। যিনি এখন আবার ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের মাথা। সেই আর্সেন ওয়েঙ্গার ভারতে আসছেন খুব শিগগিরি। গত মাসে মেয়েদের বিশ্বকাপ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েঙ্গারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে, সচিব সাডি প্রভাকরনের সঙ্গে। এআইএফএফ সেন্ট্রাল অ্যাকাডেমি শুরু করতে চলেছে। সেই কারণেই ফিফার সাহায্য চায় ফেডারেশন।আগামী অক্টোবরে ভারতে আসতে পারেন ওয়েঙ্গার। তিনি বলেছেন, ‘ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ভারতের বিশ্বের অন্যতম বড় দেশ ফুটবল উন্নয়নের চেষ্টা করছে। ভারত খেলার দেশ। আশা করি আমরা ভারতের বাচ্চাদের জন্য একটা নতুন দিক খুলে দিতে পারি। যাতে ওরা ফুটবল খেলতে আগ্রহী হয়। আমি এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, কারণ সাফল্য শিক্ষার সঙ্গে জড়িত। আমরা ভারতের তরুণ প্রজন্মকে শেখাব ফুটবল দেখার জন্য।’ অ্যাকাডেমি শুরু করতে গেলে দুটো সহজ ধাপ প্রয়োজন পড়ে। ওয়েঙ্গারের কথায়, ‘দুটো বিষয়ের উপর পুরো ব্যাপারটা দাঁড়িয়ে। এক, প্রতিভা খুঁজে বের করা। সেই সঙ্গে ফুটবল এডুকেশন প্রোগ্রাম ও কোচিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফিফার সঙ্গে জুটি বেঁধে এআইএফএফকে ফুটবল প্রোগ্রামটা সাজাতে হবে। এআইএফএফের সঙ্গে মিলে আমাদের প্রতিভা খোঁজার কাজটা করতে হবে। তারপর গ্রাসরুট প্রোগ্রাম চালাতে হবে। সেখান থেকে আবার প্রতিভা খুঁজে নিতে হবে। ১৪০ কোটির দেশে প্রতিভা খুঁজে বের করা কঠিন নয়। ভারত তো সোনার খনি। তবে এটা সংগঠনের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই কাজটাই সহজ করতে হবে।’ ওয়েঙ্গার চাইছেন এমন কিছু লোকজন, যাঁদের ধারণা আছে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে। প্রতিভা কোথায় বেশি পাওয়া যাবে, তা পরিষ্কার জানেন। ফিফা আর এআইএফএফের সংযুক্তিতেই কাজটা সারতে চাইছেন আর্সেনালের প্রাক্তন কোচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =