টিম ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছে সুযোগ ছিল। ফাইনাল নিশ্চিত। ফলে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন করেছিলেন রোহিত শর্মা। লক্ষ্য ছিল বাকিদেরও ম্যাচ প্র্যাক্টিস দেওয়া। সেটা দিতে পারলেন। তবে তাঁদের থেকে প্রাপ্তি তেমন কিছু নেই। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের হয়ে সীমিত সুযোগে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন তিলক ভার্মা। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই বলেছিলেন তাঁকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখার জন্য। ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে কোনও অফস্পিনার নেই। তিলক থাকলে মিডল অর্ডারে বাঁ হাতি ব্যাটারের বিকল্প বাড়বে, তেমনই অফস্পিনারেরও। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রাখা হয় তাঁকে। অভিষেক ম্যাচে ভরসা দিতে পারলেন না। সবচেয়ে হতাশার সূর্যকুমার যাদবের পারফরম্যান্স। ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়েছিল ভারতের। তেমনই ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটি কার্যত নিয়মরক্ষার। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ভারতকে হারিয়ে কিছুটা অন্তত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফেরা। ভারতীয় দল পরীক্ষার পথেই হাঁটল। বিশ্রামে বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নজর ছিল যাঁরা সুযোগ পাচ্ছেন না, তাঁদের দিকে। কেউই সেভাবে পরীক্ষায় পাশ করলেন না। এই ম্যাচে ভারতের প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে শুভমন গিলের সেঞ্চুরি। এশিয়া কাপ ফাইনাল এবং বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফর্ম, ভারতীয় শিবিরে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। মহম্মদ সামি এবং শার্দূল ঠাকুরের সৌজন্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডার বড় ধাক্কা খায়। মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং তৌহিদ হৃদয় জুটি বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেয়। সাকিব ৮৫ বলে ৮০ রান করেন। তৌহিদ হৃদয় হাফসেঞ্চুরি করলেও স্ট্রাইকরেট খুবই কম। লোয়ার অর্ডারে নাসুম আহমেদ দারুণ ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় ভারত। অভিষেককারী পেসার তানজিম হাসানের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই আউট রোহিত শর্মা। ভারতীয় শিবিরে জয়ের প্রত্যাশা তবু ছিল। ক্রিজে ছিলেন আর এক ওপেনরা শুভমন গিল। এ বছর স্বপ্নের ফর্মে শুভমন। ওডিআইতে হাজারের ওপর রান। এ দিন আরও একটা সেঞ্চুরি করলেন। এই ফরম্যাটে বছরের চতুর্থ সেঞ্চুরি শুভমনের। যদিও ম্যাচ ফিনিশ করে আসতে পারলেন না। শেষ দিকে মরিয়া লড়াই অক্ষর প্যাটেলের। সঙ্গী শার্দূল ঠাকুর। শেষ ২ ওভারে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭ রান। মুস্তাফিজুর বোলিংয়ে এসেই শার্দূলের উইকেট নেন। ক্রিজে যোগ দেন মহম্মদ সামি। স্ট্রাইক দেন অক্ষর প্যাটেলকে। বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের প্রত্যাশা দেন অক্ষর। কিন্তু ওভারের চতুর্থ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট অক্ষরও। মাত্র ৩৪ বলে ৪২ রান করেন। মাত্র ৬ রানে হার ভারতের। এশিয়া কাপে এর আগে ভারতকে একবারই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ২০১২ সালে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কাছে হার।