শেষ বলে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

সব মিলিয়ে ১১, টানা দ্বিতীয় বার এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা। ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় গত বারের চ্যাম্পিয়ন। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর এই ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনাল হয়ে দাঁড়ায়। বৃষ্টিবিঘ্নিত দু-দিনের ম্যাচে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। পরদিনই শ্রীলঙ্কাকেও হারায় টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দু-দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। নেট রান রেটে কিছুটা ভালো জায়গায় ছিল শ্রীলঙ্কা। ভারতের কাছে ২২৮ রানে হারায় পাকিস্তান নেট রান রেটে পিছিয়ে পড়ে। ফাইনালে যেতে হলে জয় ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের কাছে। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে ফাইনালে যেত শ্রীলঙ্কা। তবে বৃষ্টির সাহায্যে নয়, পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করল শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা কার্যত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে ফাইনালে যাবে। প্রথম দল হিসেবে এ বারের এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল টিম ইন্ডিয়া। এর সঙ্গে চাপে ফেলেছিল পাকিস্তানকে। নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে পাকিস্তান। সুতরাং, ফাইনালে যেতে শ্রীলঙ্কাকে হারানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই পাকিস্তানের কাছে। এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। প্রবল চাপে পড়ে তারা। অনবদ্য একটা ইনিংসে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রাখলেন মহম্মদ রিজওয়ান। ২৫৩ রান চেজ করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। শাদাবের দাপটে দুই ওপেনার আউট হয়ে যান। ৭৭ রানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ক্রিজে নেমেই আগ্রাসী মেজাজে রান তুলতে থাকেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সমরব্রিক্রমা। মারমুখী মেজাজে তৃতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করেন দু’জন। আর সেখানেই ম্যাচ ঘুরে যায়। শ্রীলঙ্কার রান যখন ১৭৭, তখন ইফতিকার ফর্মে থাকা সমরব্রিক্রমাকে আউট করেন। বলের লাইন মিস করতেই রিজওয়ান তাঁকে স্টাম্প আউট করে দেন। ফলে ৫১ বলে ৪৮ রানে আউট হন তিনি। সমরব্রিক্রমা ফিরলেও, মেন্ডিস আগ্রাসী মেজাজেই রান চেজ করতে থাকেন। তবে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না। কারণ এবারও বাবর আজমের মুখে হাসি ফোটান সেই ইফতিকার। শ্রীলঙ্কার রান তখন ২১০, ঠিক সেই সময় আবার ধাক্কা দিলেন ইফতিকার। তাঁর স্পিন বুঝতে না পেরে মহম্মদ হ্যারিসের হাতে লোপ্পা ক্যাচ তুলে দেন মেন্ডিস। ফলে তাঁকে ৮৭ বলে ৯১ রানে তাঁকে থামতে হয়। আউট হওয়ার আগে মারলেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। ২১০ রানে ৪ উইকেট চলে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল পাকিস্তান কামব্যাক করবে না তো! তবে এবার আর নতুন কোনও চমক ঘটল না। টেনশন বাড়িয়ে এবার এবার ইফতিকারের শিকার দাসুন শনাকা। ফলে ২২২ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে পাক দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন শাহিন। তাঁর ওভারে জোড়া সাফল্য পাওয়ার পর জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। তবে মাথানত করেননি চারিথা আশালঙ্কা। বরং প্রবল চাপে মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে ফাইনালে তুলে দিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =