সামরিক মহড়ার তীব্রতা বাড়াচ্ছে চিন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের সীমান্তে মোট ৬৮টি চিনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। ফলে ক্রমশই উত্তেজনার পারদ চড়ছে দু’দেশের মধ্যে। বেজিংকে জবাব দিতে প্রস্তুত তাইপেই। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাইওয়ান সীমান্তে সব মিলিয়ে মোট ৬৮টি যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে চিনের লাল ফৌজ। এর মধ্যে ৪০টি বিমান বুধবার সকালে তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে। এমনকী দশটি চিনা রণতরীও শনাক্ত করেছে তাইপেই প্রশাসন।
এ বিষয়ে চিনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ৬৮টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। তাইওয়ানের নিরাপত্তাবাহিনী গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সেনাবাহিনীর নিজস্ব বিমান পাঠানো হয়েছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে বহুদিন ধরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। গত তিন বছরে এই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চিন। এর আগেও বহুবার তাইওয়ানের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চিনের ফৌজ। কিন্তু ‘ড্রাগন’কে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ তাইওয়ান। ফলে চাপানউতোর বেড়েই চলেছে দু’দেশের মধ্যে। এই সংঘাতে তাইওয়ানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। যা নিয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে জিনপিং প্রশাসন। এখন তাইওয়ানের আকাশ জুড়ে ক্রমশ ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ।
প্রসঙ্গত, চিনের আগ্রাসান রুখতে প্রতিরক্ষা বিষয়ে তাইওয়ান যে বাজেট পেশ করেছে তার পরিমাণ ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। বিপুল অর্থের বাজেট প্রসঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে তাইওয়ান নিজেদের আরও শক্তিশালী করবে। শক্তিশালী প্রতিরক্ষার দ্বারা জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও সহযোগিতা প্রয়োজন। চিনের বিরুদ্ধে মজবুত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নতিতে লেগে পড়েছে তাইওয়ান। তৈরি করা হচ্ছে সাবমেরিনও।