ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ধাক্কা খেয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। ফাইনালে ডার্বি হারের জ্বালা। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ফাইনালে আরও একটা ধাক্কা খেয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। ম্যাচের প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন বিদেশি ডিফেন্ডার জর্ডন এলসে। আইএসএল থেকেও ছিটকে গিয়েছেন তিনি। পরের দিকে আদৌ তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা। এলসের বিকল্প খোঁজার কাজও শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। কথা বলেছেন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও। এ সবের মাঝেই ইস্টবেঙ্গলে ফের উদ্বেগ বাড়ল। উদ্বেগের কারণ নাওরেম মহেশ সিং। বুধবার ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাক্টিস ম্যাচ শেষে যে ছবি চিন্তায় রাখতে বাধ্য লাল-হলুদ সমর্থকদের। একে তো প্রস্তুতি ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ০-১ গোলে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি মিস করেন ক্লেটন সিলভা। এরপর দেখা যায় দলের তরুণ স্ট্রাইকার মহেশের পায়ে ব্যান্ডেজ। হাঁটতেও বেশ কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল। ডান পায়ে হাঁটুর নীচ থেকে একদম একদম গোড়ালির ওপর অংশ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা। গত মরসুমেও লাল-হলুদে ছিলেন নাওরেম মহেশ। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এ মরসুমে এখনও অবধি নজর কেড়েছেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ মহেশ। সেই পরিকল্পনায় ধাক্কা খাবে না তো? সদ্য কিংস কাপে অংশ নিয়েছে ভারত। থাইল্যান্ডে এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ অর্থাৎ সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল ইরাক। ফিফা ক্রমতালিকায় ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী ইরাকের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাত্র ১৬ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মহেশ। ম্যাচটি যদিও ভারত অল্পের জন্য টাইব্রেকারে হেরে যায়, তবে দলের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি সেখানেই চোট পেয়েছিলেন মহেশ? জাতীয় দলের তরফ থেকে কি কিছুই জানানো হয়নি ক্লাবকে? সামনের সপ্তাহেই শুরু আইএসএল। ২৫ তারিখ মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। মহেশকে এই অবস্থায় দেখার পর উদ্বেগ বাড়ল অনেকটা। এমনিতেই এশিয়ান গেমসের জন্য ফুটবলার ছাড়া নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। সামনে জাতীয় দলের বেশ কিছু টুর্নামেন্ট। এই দ্বন্দ্ব আরও বড় আকার নেবে না তো!