এশিয়া কাপ চলছে। এরপরই বিশ্বকাপ। ইডেন গার্ডেন্স সাজছে বিশ্বকাপের জন্য। সেমিফাইনাল সহ বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ হবে ইডেনে। ক্রিকেট উৎসবের মেজাজ বাংলা ক্রিকেটে। এরই মাঝে আজ সিএবির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। তারকা সমাবেশে উঠে এল বাংলা ক্রিকেটের নানা মজার কাহিনি। তেমনই কিছু ‘আক্ষেপ’ এবং অনুরোধের কথাও। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার তরফে এ বছর জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর মুখ থেকেই উঠে এল অজানা কাহিনি। বাংলা ক্রিকেটই শুধু নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম পঙ্কজ রায়। প্রয়াত কিংবদন্তির জন্য বিশেষ দাবি তুললেন রাজু মুখোপাধ্যায়। সিএবির লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার নিয়ে মঞ্চ থেকেই রাজু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সবার আগে পঙ্কজ রায়ের জন্য মরনোত্তর সম্মানের ব্যবস্থা করা উচিত। উনি বাংলা ক্রিকেটের মুখ। ওনাকে সম্মান না দিলে আমাদের এই সম্মানের মূল্য থাকে না। পঙ্কজ রায়ের কীর্তি অসামান্য। উনি টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। তাই সিএবি সভাপতির কাছে আশা করব বা অনুরোধ পঙ্কজ রায়কে মরনোত্তর সম্মান দেয়া হোক।’ মেয়েদের ক্রিকেটে জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হয় শর্মিলা চক্রবর্তীকে। তাঁকে যখন পুরস্কারের জন্য মঞ্চে যখন ডাকা হয়, কার্যত সঞ্চালকের কাজই করেন রাজু মুখোপাধ্যায়। স্মৃতির পাল্টা উল্টে তিনি বলেন, ‘একবার নেটে শর্মিলা বল করছিল। তখন ব্যাট করতে যাওয়ার কথা গোপাল বসুর। কিন্তু ব্যাট করতে যায়নি। গোপাল বসু বলে- শেষে যদি ওর বলে বোল্ড হই, তখন আজীবন কথা শুনতে হবে যে, মেয়ের বলে আউট হয়েছে। কোচ আমাকে নেটে ব্যাট করতে যেতে বলে। আমি বলি, আমার কোনও আপত্তি নেই। আউট হলে হব। প্রথম বলেই আমার স্টাম্প ছিটকে দেয় শর্মিলা। ওরকম বাঁ-হাতি স্পিনার আমি খুব কম দেখেছি।’ বাংলা ক্রিকেটের জন্য প্লেয়ার হিসেবে অবদান রেখেছেন। তেমনই কর্তা হিসেবেও। সিএবির জীবনকৃতি সম্মানের দিন আরও একটা দারুণ উদ্যোগ রাজু মুখোপাধ্যায়ের। সিএবির মালিদের জন্য ২ লক্ষ টাকা দান করলেন তিনি। বাংলা ক্রিকেটে তাঁদের অবদান কম নয়। সেটা ভুলছেন না রাজু মুখোপাধ্যায়। মালিদের জন্য এই সিদ্ধান্ত সকলের মন জয় করে নিয়েছে।