বাংলাদেশকে হারিয়ে লাইমলাইটে শ্রীলঙ্কা

ফাইনালের দৌড়ে থাকতে হলে জিততেই হত বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল। সুপার ফোরে ফের মুখোমুখি। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে এমনিতেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার নজর ছিল টানা ১৩টি জয়ের রেকর্ড। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ করেন মহেশ থিকসানা। চোটের কারণে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। তাতেও অবশ্য জয়ের ধারা বজায় রেখেছে। এ দিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২১ রানের জয়। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ জিতে ফাইনালের দৌড়ে রইল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। টানা দুটি হারে শেষ ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল বাংলাদেশের। ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে টানা ২১ টি জয়ের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল তিনটি দল। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান। তিনদলই টানা একডজন ওডিআই জিতেছিল। টানা ১৩টি জয়ে বাকি দু-দলকে ছাপিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ব্যাটিং এ দিনও ফ্লপ। বোলাররা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল। পাকিস্তানের কাছে সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে হারের পর ব্যাটিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টপ ও মিডল অর্ডার আফশোস করতেই পারে। লোয়ার অর্ডারে নাসুম যেমন ব্যাটিং করলেন, হাতে উইকেট থাকলে, এই ম্যাচ জেতা খুবই সহজ ছিল। নাসুমকে বুলস আই ইয়র্কারে বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন মাতিসা পাথিরানা। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সাদিরা সমরবিক্রমা, কুশল মেন্ডিস এবং পাথুম নিশাঙ্কার হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের জন্য ২৫৮ রানের টার্গেট রাখে শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন মহম্মদ নাঈম ও মেহদি হাসান মিরাজ। টপ অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। দলীয় ৮৩ রানে লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারে জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন তৌহিদ হৃদয়। দলীয় ১৯৭ রানে তাঁকে আউট করে বাংলাদেশের হৃদয়ভঙ্গ করেন মহেশ থিকসানা। শেষ অবধি ৪৮.১ ওভারে ২৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ইনিংস। মহেশ থিকসানা, দাসুন শানাকা এবং মাতিসা পাথিরানা তিনটি করে উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =