অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমীরা। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। ২০১১ সালের পুনরাবৃত্তি হোক, তেমনটাই প্রত্যাশা। বিশ্বকাপ ট্রফিটা ভারত অধিনায়কের হাতে উঠবে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে অনেক দেরি। আপাতত কলকাতার ক্রিকেট প্রেমীরা সুযোগ পেলেন বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার। অক্টোবরে শুরু ভারতে ক্রিকেট উৎসব। তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সেমিফাইনাল সহ ইডেন গার্ডেন্সে রয়েছে পাঁচটি ম্যাচ। তার আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে বিশ্বকাপের ট্রফি এসে পৌঁছল কলকাতায়। জৌলুসের মধ্যেও কিছু কি আক্ষেপ রইল? একটা প্রতীক্ষা মিটল কলকাতার ক্রিকেট প্রেমীদের। ক্রিকেটের নন্দনকাননে বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদর্শন হল। ৫ অক্টোবর শুরু ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ১৯৯৬ সালের পর ইডেনে রয়েছে সেমিফাইনাল। সব মিলিয়ে ৫টা ম্যাচ হবে ক্রিকেটের নন্দনকাননে। এ দিন ট্রফি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করে শোনান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীসহ ক্রীড়াজগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ঝুলন গোস্বামী, লিয়েন্ডার পেজ, অশোক দিন্দারা উপস্থিত ছিলেন ইডেনে। ট্রফি প্রদর্শনীর সঙ্গে সঙ্গেই আতসবাজির রোশনাই দেখা যায় ইডেনে। ইডেনে বিশ্বকাপ ট্রফি। আরও একটু জমকালো হতে পারতো কি? বিশ্বকাপের পুরনো কিছু ক্লিপিংস দেখানো হয়। বাংলা থেকে যাঁরা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তাঁদের ছবি দেখানো হয়। সেই ছবিতে বাদ মহম্মদ সামি! দেখা যায়নি শাহবাজ আহমেদ, মুকেশ কুমারকেও। সামি দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলে খেলছেন। গত বিশ্বকাপেও খেলেছেন। এ বারও বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা। পঙ্কজ রায়, চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জিদের ছবিও নেই এই তথ্যচিত্রতে। প্রয়াত বলে তাঁদের ছবি রাখা হয়নি! তবে ছিল ভারতীয় টেনিসের কিংবদন্তি প্রয়াত আখতার আলির ছবি। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানান- ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রীড়াজগতের অন্যান্যদের ছবিও রাখা হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। মহম্মদ সামির ছবি যদি না থেকে থাকে, সেটার জন্য আমি দুঃখিত। এটা আমাদেরই মিসটেক।