জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবারই দিল্লি পৌঁছবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটন থেকে আজই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন বাইডেন। শুধু বাইডেনই নয়, আমেরিকা থেকে উড়ে আসছে ‘দ্য বিস্ট’ও। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সরকারি গাড়ির পোশাকি নাম ‘দ্য বিস্ট’।
ভারত সফরের সময় বাইডেন এই বিলাসবহুল ক্যাডিলাক গাড়়ি চড়েই ভ্রমণ করবেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে আমেরিকা থেকে একটি বোয়িং বিমানে চাপিয়ে ভারতে আনা হবে গাড়িটিকে। দিল্লিতেও এই গাড়ির জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাইডেনের আগমন ঘিরে চরম ব্যস্ততা দিল্লি জুড়ে। কড়া ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের সব থেকে বাইরের স্তরে থাকবে আধাসামরিক বাহিনী, দ্বিতীয় স্তরে থাকবে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো এবং সবচেয়ে ভিতরের বলয়ে থাকবেন গোয়েন্দা বিভাগের গোপন আধিকারিকরা।
‘দ্য বিস্ট’ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরাপদ গাড়ি হিসেবে পরিচিত। বুলেট প্রুফ এই গাড়ি সব সময় বাইডেনের নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারায় থাকে। এটাই বিশ্বের সবথেকে নিরাপদ গাড়ি। এই গাড়িতে সওয়ার হলে গায়ে আঁচড় পর্যন্ত লাগবে না! বুলেট-প্রুফ কাঁচ তো আছেই, রয়েছে টিয়ার গ্যাস ডিসপেনসার পর্যন্ত। গাড়ির চাকা কখনও নষ্ট হয় না।
এই গাড়ির সামনের দরজা ৫ ইঞ্চি পুরু, আর পিছনের দরজা ৮ ইঞ্চি। রয়েছে পাঁচখানা কাঁচের স্তর। সেগুলি পেরিয়ে বোমাও আঘাত করতে পারবে না। রয়েছে টিয়ার গ্যাস বেরনোর মেশিন, জিপিএস, নাইট ভিশন মেশিন। প্রেসিডেন্টের গ্রুপ মিলিয়ে গাড়িতে রাখা হয় ২ বোতল রক্তও। গাড়ির মধ্যে থাকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। গাড়িতে রয়েছে প্যানিক বাটন, যা দিয়ে পেন্টাগনের সঙ্গে সংযোগ রাখা যায় সবসময়।
বাইডেন ভারতে থাকাকালীন দিল্লির উপর নজর রাখতে আকাশে ক্রমাগত চক্কর দেবে বায়ুসেনা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারগুলিতে সেনাবাহিনী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর কমান্ডো থাকবেন। দিল্লির বহুতল ভবনগুলিতে এনএসজি এবং সেনা স্নাইপারদের মোতায়েন করা হবে। বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছে দিল্লি পুলিশও। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক জায়গায় এমন প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে, যা ড্রোন চলাচলে বাধা দেবে।