ইন্টারভিউয়ে কোন যোগ্যতার জন্য কত নম্বর জানাতে রাজি নয় সিএসসি

২০২০ সালের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী  ৪৫টি বিষয়ে দেড় হাজার সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন ও অর্থনীতির প্যানেল বেরিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, আরও কিছু বিষয়ের ইন্টারভিউ চলছে। আবার, কিছু সাবজেক্টে শূন্যপদের হিসেব অমিল বলে ইন্টারভিউ শুরুই হয়নি। এরই মধ্যে তথ্য জানার অধিকার আইনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্কোর প্যাটার্ন বা বিভিন্ন যোগ্যতার জন্য ধার্য নম্বরের তথ্য জানতে চান এক প্রার্থী। কিন্তু সেই তথ্য জানানো যাবে না বলে জানিয়েছে সিএসসি। তাদের যুক্তি, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ও বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে স্কোর প্যাটার্ন সম্পর্কিত।

তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাঝপথে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইন্টারভিউ, নেট বা সেটে প্রাপ্ত মান এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ নম্বর জানালে গোপনীয়তা প্রভাবিত হবে। কলেজে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নম্বর বিভাজনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা যেতে পারে। অথচ অতীতে নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তিতেই স্কোর প্যাটার্ন জানানো থাকত। তা হলে এবার কেন এই গোপনীয়তা, তা নিয়ে শিক্ষামহল ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন ও বিস্ময় তৈরি হয়েছে।

একইসঙ্গে বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষায় ইন্টারভিউয়ে বরাদ্দ থাকে মাত্র ১০ নম্বর। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে কার্যত ৪০ নম্বর ধার্য হয়েছে। ইন্টারভিউ পারফরমেন্সে ২০ নম্বরের পাশাপাশি টিচিং স্কিলে ও ডমেন নলেজে ১০ করে আরও ২০ নম্বর। স্কুল ও কলেজ স্তরে ধার্য নম্বরের এই বিশাল ফারাকের কারণে বিকাশ ভবনেও বহু অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সূত্রে খবর। এদিকে ইন্টারভিউয়ে বেশি ওয়েটেজের কারণে সবচেয়ে বেশি সংশয়ে চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর বিভাজনের তথ্য থেকে কোনও প্রার্থী বঞ্চিত হবেন কেন তা নিয়েও। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বা ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ-বিজ্ঞাপনেও নম্বর বিভাজন স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছিল। তাহলে এসএসসি এবং পর্ষদ নিয়োগ পরীক্ষার স্কোর প্যাটার্ন জানালে সিএসসি-র এই গোপনীয়তা কেন এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর এখানেই অনেকের আশঙ্কা, এই অস্বচ্ছতার কারণে কলেজে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও ফের মামলা হতে পারে।

এদিকে আবার ২৩ অগাস্ট উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানেও হবু শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক, টেট এবং ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর জানানো আছে। যা সিএসসি-র মেধা তালিকায় অধরা। অথচ ২০১২ সালে সিএসসি-র নিয়োগ বিধিতেও মেধাতালিকায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বিভিন্ন খাতে প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ উল্লেখ করা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − eleven =