অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুল

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কসবার রথতলার সিলভার পয়েন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এমনটা জানিয়ে বৃহস্পতিবার স্কুলের গেটে নোটিসও টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রমৃত্যুতে স্কুলের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ছাত্রকে মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তদন্ত চলছে, তাতেই আসল তথ্য সামনে আসবে। ইতিমধ্যেই হাই স্কুলের প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল এবং দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রের পরিবার।

স্কুলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের স্কুলে ছাড়তে এসে অভিভাবকেরা দেখেন বিশাল লোহার গেটে তালা মারা। তার উপরে সাঁটানো একটি নোটিশ। যাতে ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্র মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছে যে, পুরো ঘটনায় স্কুলের ভূমিকা ভীষণই খারাপ দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে নোটিশে বলা হয়েছে, পুরো ঘটনায় গোটা স্কুল কর্তৃপক্ষ সাংঘাতিক শকড্। ট্রমা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না কেউই। এমন অবস্থায় পড়ুয়াদের সুরক্ষাই আমাদের কাছে প্রথমে অগ্রাধিকার পাবে। তাই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যে তদন্ত এখন স্কুলে চলছে, সেই আবহ থেকে পড়ুয়াদের দূরে রাখতেই আবার কোনও নোটিশ দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল।

চলতি সপ্তাহের সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্কুলে রক্তাক্ত অবস্থায় এক দশম শ্রেণির ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয় পাঁচতলার ছাদ থেকে ওই পড়ুয়া পড়ে গিয়েছে। সে আত্মহত্যা করেছে না কেউ তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে চলছে তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, ওই ছাত্র নিজেই ঝাঁপ মেরেছেন। তবে এবিষয়ে স্কুলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন মৃত পড়ুয়ার বাবা। বলেন, প্রজেক্ট জমা না দিতে পারার জন্য তাঁকে স্কুল থেকে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় উঠে আসে পড়ুয়ার মানসিক অবসাদের তত্ত্বও। একসঙ্গে পড়ুয়ার বাবা বলেন, করোনাকালে বেতন কমানোর কথা বলে স্কুলে রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি সেজন্যেও তাঁর ছেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 5 =