এশিয়া কাপে সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ। বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তান পর্বের ইতি। এশিয়া কাপ হচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। গ্রুপ পর্বে নেপালের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলেছিলেন বাবর আজমরা। সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ বারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানে আর ম্যাচ নেই। সুপার ফোরের বাকি ম্যাচ এবং ফাইনাল হবে কলম্বোয়। এ দিন বাংলাদেশকে বড় ব্য়বধানে হারিয়ে পাকিস্তান নেট রান রেটও অনেকটা বাড়িয়ে নিল। লাহোরে ব্যাটিং সহায়ক পিচ হলেও শুরুর দিকে পেসাররা সাহায্য পেয়েছেন। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বাংলাদেশের মেকশিফ্ট ওপেনার মেহদি হাসান মিরাজ। মিডল অর্ডারে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন নাজমুল হাসান শান্ত। এই ম্যাচের আগে চোটের কারণে ছিটকে যান দ্বিতীয় জন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও মেহদি হাসানকে দিয়ে ওপেন করান। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ হল না। লিটনও ফিরেছিলেন। তিনিও ভরসা দিতে পারেননি। পাকিস্তানের পেসত্রয়ীর বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই। অল্প রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। অনবদ্য একটা জুটি গড়েন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দু-জনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। দলীয় ১৪৭ রানে সাকিব আল হাসান ফিরতেই বাংলাদেশ অলআউট ১৯৩ রানে। হ্যারিস রউফ চার উইকেট নেন। এ ছাড়াও নাসিম শাহ নেন তিন উইকেট। রান তাড়ায় বাংলাদেশ পেসারদের সামনে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। শুরুর দিকে অনবদ্য বোলিং বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের। ফখর জামানের উইকেটও নেন। বাবর আজমকে বোল্ড করেন তাসকিন। অল্প রানের লক্ষ্য থাকায় জিততে কোনও সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ইমাম উল হক এবং মহম্মদ রিজওয়ান হাফসেঞ্চুরি করেন। ৩৯.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তান। রিজওয়ান অপরাজিত ৬৩ রানে।