রহস্যমৃত্যু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্রের, ক্ষীরপাইয়ে রেললাইনের ধারে মিলল দেহ

বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়।বাড়ি থেকে বহুদূরে পূর্ব মেদিনীপুরে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রের দেহ। ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্র হাবড়ার বাসিন্দা। নাম স্বাগত বণিক। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরপাইয়ে একটি রেললাইনের ধার থেকে। হাবড়া থেকে ছেলেটি কখনই বা মেদিনীপুরে গেল এবং কীভাবেই তাঁর দেহ রেললাইনের ধারে এল, সে নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। মৃতের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বললেও, তাঁদের প্রশ্ন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার হলে হাবড়া থেকে অত দূরে যাবে কেন?
মৃতের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, ছেলেটি বেহিসেবি জীবন কাটাত। শহরের নামী পাঁচতারা হোটেলগুলিতে তাঁর যাতায়াত ছিল। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে ।
মঙ্গলবার রাতে ছাত্রের নিথর দেহ বাড়ি ফিরতেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। উত্তর হাবড়ার বাসিন্দা স্বাগত বণিক শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে তাঁর পাড়ায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর উনিশের স্বাগত ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্টের পরে শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্ট্যাটেস্টিক্সে অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। স্বাগতর বাবা জানিয়েছেন, কলেজে দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। শিয়ালদহে প্রজেক্ট বাইন্ডিং করতে দেওয়া আছে, সেটা আনতে যাচ্ছে বলে রবিবার দুপুরে হাবড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্বাগত। রবিবার সন্ধে গড়িয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়ি ফিরছে না দেখে দুশ্চিন্তায় পরে পরিবার। মধ্যরাতে হাবড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। পরে উদ্ধার হয় দেহ।
মৃত ছাত্রের বাবা জানান, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ পাঁশকুড়া রেল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাগত মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। খবর পেয়ে রাতেই তমলুকে যান।’
মঙ্গলবার রাতে মেধাবী ছাত্রের নিথর দেহ নিয়ে আসা হয় হাবরার বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা-বাবা। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের ছেলের মৃত্যু কখনই আত্মহত্যা নয়। এর পেছনে সহপাঠীরা রয়েছে। স্বাগতর বাবা বলেন, ছেসে যদি মরবেই, তাহলে বাড়ি থেকে এত দূরে গিয়ে কেন? ওর কলেজের বন্ধুরা নিশ্চয়ই এরসঙ্গে যুক্ত আছে।দ স্বাগতর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + eleven =