চোটের কারণে এশিয়ান গেমসে তিনি নেই। তা হলেও ভারতের মুখ পুড়ল ঠিকই। জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থার প্রাথমিক নির্বাসনের দায়ে পড়লেন হিমা দাস । ২৩ বছরের আসামের অ্যাথলিট চলতি বছরের শুরু থেকেই চোটের কবলে রয়েছেন। যে কারণে তাঁকে এশিয়ান গেমসের টিমে রাখা হয়নি। তারই মধ্যে স্প্রিন্টার পড়লেন অন্যা চাপে। জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা সব অ্যাথলিটেরই নিয়মমাফিক টেস্ট নেয়। ১২ মাসে যে তিনটে ডোপ টেস্ট দেওয়ার কথা ছিল হিমার। তা তিনি দেননি। এতেই এই নির্বাসন। ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটারে রুপো জিতেছিলেন তিনি। ৪০০ মিটার রিলে ও ৪০০ মিটার মিক্সড রিলেতে সোনা ও রুপো জিতেছিলেন। ডোপিংয়ের দায়ে ২ বছরের নির্বাসন হতে পারে হিমার। তবে কেন তিনি ডোপ টেস্ট দেননি, তার যথাযথ কারণ দর্শাতে পারলে নির্বাসন কমতে পারে। তেমন হলে কমে গিয়ে এক বছরের নির্বাসনের মুখে পড়তে পারেন। জাতীয় শিবির ছেড়ে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে হিমা। একটি সূত্র বলছে, ‘হ্যাঁ এক বছরের সময়সীমার মধ্যে হিমা তিনটে ডোপ টেস্ট মিস করেছে । প্রাথমিক ভাবে ওকে নির্বাসন করেছে নাডা।’ গত মাসে রেস ওয়াকার ভাবনা জাটও একই রকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন। তাঁকেও প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করেছে নাডা। ওয়াডা বা বিশ্ব ডোপ বিরোধী সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অ্যাথলিট যদি এক বছরের সময়সীমার মধ্যে ডোপ টেস্ট দিতে না পারেন বা না দেন, তা হলে তিনি ডোপ বিরোধী নিয়মের আওতায় পড়বেন। হিমাও তাই পড়েছেন। তবে হিমা ঠিক কী করেছেন, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। কোমরের সমস্যায় বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছেন হিমা। জাতীয় অ্যাথলেটিক্স কোচ রাধাকৃষ্ণণ নাইয়ার বলেছিলেন, গত এপ্রিল থেকে হিমা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটেও ভুগছেন। যে কারণে ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রিতে তিনি নামেননি। রাঁচিতে ফেডারেশন কাপেও নামেননি। আন্তঃরাজ্য মিটেও দেখা যায়নি।