এক ঝলক দেখলে কোনও পলিটিশিয়ানের বাড়ি বলে ভ্রম হতে পারে। পোস্টার, ব্যানার টাঙিয়ে প্রতিবাদ, স্লোগানে মুখর চারিদিক। দেশের ব্যাটিং কিংবদন্তি, মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের বাড়ির সামনে শুরু হয়েছে এই প্রতিবাদ। প্ল্যাকার্ডে ইংরেজিতে লেখা ‘ব্যাটিং থেকে বেটিং’ এবং মরাঠি ভাষায় লেখা বড় ব্যানার। নেতৃত্বে রয়েছেন প্রহার জনশক্তি পার্টির নেতা ওমপ্রকাশ বাবারাও ওরফে বাচ্চু কাডু। কেন এমন প্রতিবাদ? যে মানুষের ক্রিকেট কেরিয়ার জলের মতো স্বচ্ছ। ব্যক্তিগত জীবনেও যিনি বিতর্ক থেকে শত ক্রোশ দূরে থাকেন সেই সচিন তেন্ডুলকরের বাড়ির সামনে এমন অবস্থান প্রতিবাদের কারণ কী? অনলাইন গেমিং অ্যাপের রমরমা এখন প্রবল। সোজা ভাষায় যা হল অনলাইনে জুয়া খেলা। এই সত্যিটা জানা সত্ত্বেও সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ঋষভ পন্থের মতো ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সময় এই অনলাইন গেমিং অ্যাপগুলির প্রচার মুখ হতে দেখা গিয়েছে। আইপিএলের সময় এই অ্যাপগুলির রমরমা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সচিন তেন্ডুলকরের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব দেশের আট থেকে আশির আইকন। তিনি যদি জুয়া খেলার প্রচার করেন সেটা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সরকারের উচিত সচিনের কাছ থেকে ভারতরত্ন কেড়ে নেওয়া। মাস্টার ব্লাস্টারের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দাবি প্রতিবাদকারীদের। বিধায়ক কাডু বলেছেন, সচিনকে যদি ভারতরত্ন সম্মান না দেওয়া হতো তাহলে আমরা এই প্রতিবাদ করতাম না। একজন ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত মানুষের ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দেশের কথা আগে ভাবা উচিত। তিনি ইতিমধ্যেই এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর পাশাপাশি সচিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন কাডু।