রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত এবার তুঙ্গে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার পথে রাজ্য। কোন আইনের বলে আচার্য উপাচার্যের পদ সামলাতে পারেন সেই প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শীর্ষ আদালতে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন এদিন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আইনি পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। এবার রাজ্য যে সেই পথেই হাঁটছে, তা তিনি শুক্রবার স্পষ্ট করে দিলেন।
এর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ প্রশ্নও তোলেন যে, ‘যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য। আমি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে কোন আইনের বলে এটা করলেন, আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব বলে ভাবছি।’
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক স্তরে যে টানাপোড়েন চলছে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময়ে রাজভবন থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়,রাজ্যে বর্তমানে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। রাজ্যের যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে আচার্য তথা রাজ্যপাল তাঁর নিজ ক্ষমতাবলে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে বিভিন্ন শংসাপত্র, নথি ও অন্যান্য সুবিধা পেতে ছাত্রছাত্রীদের কোনও সমস্যা না হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ছাত্রছাত্রীরা চাইলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বিজ্ঞপ্তি একেবারে সরাসরিই রাজ্য শিক্ষা দফতরকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারপরই শিক্ষা দফতরের তরফে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হয়।