দত্তপুকুরের বাজি কারখানা বিস্ফোরণের পর তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন। যদিও এই ধরনের তৎপরতা আগেও দেখানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে। যেমন, এগরা বা বজবজে বিস্ফোরণের পরও বাজি কারখানার লাইসেন্স নিয়ে সতর্ক হওয়ার কথা বলেছিল নবান্ন। তারপরও দত্তপুকুরে যে ঘটনা ঘটল, তা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আর সেই কারণেই এবার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হল, যাতে জেলা স্তর থেকে আর কোনও বাজি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রে খবর।
সম্প্রতি গত রবিবার সকালে বারাসতের দত্তপুকুরে আচমকাই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির এলাকায় কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। এই ঘটনায় প্রাণ যায় ৯ জনের। আশপাশের একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বাড়ির ভিতর বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নবান্নে ছিল জেলাশাসকদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক। বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে এদিন। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের বলেছেন, যাতে আর কোনও বাজি কারখানাকে জেলাস্তর থেকে লাইসেন্স না দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিবের নির্দেশ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলায় বাজি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। প্রয়োজনে ইটেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি-র নজরদারি বাড়িয়ে সব কারখানায় অভিযান চালাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বারবার এভাবে বিস্ফোরণের ঘটনাই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের কপালে।