নবম-দশমেও শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ

শুধু প্রাথমিক-ই নয় এবার সামনে এল নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দু’জন চাকরি পাননি বলেই অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই দুই চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জনকেই সুপারিশ দিয়ে চাকরি দিতে হবে বলেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএলএসটিতে নিয়োগের দাবিতে মামলা করেছিলেন সালমা সুলতানা। তাঁর দাবি, মেধাতালিকায় ২০৮ র‍্যাঙ্ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। এরপর আদালত কমিশনকে কাউন্সেলিং করে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো কমিশন কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে। এসএলএসটি উত্তীর্ণ সালমা সুলতানা ইন্টারভিউ দেন। এরপর কাউন্সেলিং জন্য তাঁকে এখনও ডাকা হয়নি বলেই অভিযোগ। অথচ তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এসএমএসে যোগদানের কথাও বলা হয়। এই ঘটনা কী করে হওয়া সম্ভব এবার তারই রিপোর্ট চাইল আদালত। এই রকমই একই ঘটনা ঘটেছে রিক্তা চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও।

এদিকে কমিশনের তরফ থেকে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয় সালমা ও রিক্তার মতো দু’শোরও বেশি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে পঞ্চাশের বেশি শিক্ষককে নিয়োগপত্রের হার্ডকপিও কমিশন দিতে পারেনি। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওই দুই চাকরিপ্রার্থীর আবেদন করা স্কুলে শূন্যপদ আছে। এরপরই বিচারপতি দু’জনকেই নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − seven =