পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ খানাকুল

নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলি: আবারও পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল হুগলি জেলার খানাকুল। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে পঞ্চায়েত চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
এদিন পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনের দিন ছিল। সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ছিল। সকাল এগারোটার পর থেকে পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায় নারী ও পুরুষের জমায়েত বাড়তে থাকে। পঞ্চায়েতের ভিতরে সমিতি গঠনের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের ভিতর দু’পক্ষের হাতাহাতি শুরু হলে বাইরেও সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিতরে চেয়ার ভাঙাভাঙি শুরু হয়। অফিসের ভিতর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের ধোঁয়া জানলা দিয়ে বের হতে শুরু করলে বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাইরে তৃণমূল-বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বলে দাবি।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও বোতল বোমা ছোড়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৮ জন পুলিশ কর্মী সহ অফিসার জখম হন। পরিস্থিতি সামলাতে নামেন স্বয়ং হুগলি গ্রামীণ এসপি, আরামবাগের এসডিপিও ও মহকুমার বিভিন্ন থানার পুলিশ অফিসাররা। গুরুতর জখম দু’জনকে আরামবাগের বেসরকারি একটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পুলিশের নিরাপত্তা সত্ত্বেও দুÜৃñতীরা কীভাবে এলাকায় ঢুকে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি স্বপন নন্দী দাবি করেন, ‘বিজেপি পঞ্চায়েত অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের গায়ে হাত তুলেছে। আমাদের প্রধান ও উপপ্রধানকে ওরা অপহরণ করেছে। এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদে আরামবাগ এসডিও অফিসের সামনে আমরা ধরনায় বসেছি। দোষীদের অবিলম্বে ধরে শাস্তি দিতে হবে।’ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ দাবি করেন, ‘তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের ভিতর কিছু অসাধু লোক ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তারাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিজেপির ওপর দোষ চাপানোর জন্য তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিন্দাজনক। ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ দোষীদের চিহ্নিত করুক। আমাদের পঞ্চায়েত প্রধানকে ওরাই আগে অপহরণ করেছিল। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’ হুগলি জেলার গ্রামীণ এসপি আমোন দীপ বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 13 =