ফুটবলের ধাঁচে ক্রিকেটেও লাল কার্ডের নিয়ম চালু হয়েছিল আগেই। যাকে ক্রিকেট বিপ্লব বলে ধরা হয়েছিল। সেই কার্ড এ বার পকেট থেকে বেরিয়েও পড়ল। চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেটে মাঠে দেখানো হল প্রথম লাল কার্ড। মরসুম শুরু হওয়ার আগে সিপিএল কর্তৃপক্ষর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এ বার থেকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে থাকবে লাল কার্ডের শাস্তি। সিপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০তম ওভারের শুরুতে ফিল্ডিং করা দল যদি নির্ধারিত সময়ের থেকে পিছিয়ে থাকে, তা হলে সেই দলের একজন ক্রিকেটারকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবেন আম্পায়ার। টুর্নামেন্টের ১১তম মরসুমের প্রথম ১১টি ম্যাচে অবশ্য লাল কার্ডের শাস্তি পায়নি কোনও দলের ক্রিকেটার। ১২তম ম্যাচে এসে আম্পায়ার লাল কার্ডের প্রয়োগ করতে বাধ্য হলেন। আর ক্রিকেটে প্রথম লাল কার্ড দেখলেন ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারিন। সিপিএলে লাল কার্ড দেখা প্রথম দল হিসেবে নজির ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। আর লাল কার্ড দেখে সিপিএলের ম্যাচের মাঝে মাঠ ছাড়া প্রথম ক্রিকেটার হয়েছেন সুনীল নারিন। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম লাল কার্ড দেখা ক্রিকেটারও হয়েছেন নারিন। সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিরুদ্ধে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং শেষ করতে পারেনি। তাই ২০তম ওভার শুরু হওয়ার আগে স্লো ওভার রেটের দায়ে ত্রিনবাগোকে লাল কার্ড দেখান আম্পায়ার। নিয়ম অনুযায়ী, ওই সময় অধিনায়ক যাঁকে বলবেন, তাঁকে মাঠ ছাড়তে হবে। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ক্যাপ্টেন কায়রন পোলার্ড ২০তম ওভার শুরু হওয়ার আগে সুনীল নারিনকে মাঠের বাইরে যেতে বলেন। এতে অবশ্য নারিনের কোনও দোষ ছিল না। দলের ভুলের মাসুল দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নারিনকে। সিপিএলের লাল কার্ডের নিয়ম বলবৎ হওয়ার পাশাপাশি পেনাল্টি হিসেবে ২০তম ওভারে ফিল্ডিং বৃত্তের মধ্যে মোট ৬জন ক্রিকেটার রাখার নতুন নিয়মও চালু হয়েছে। এই নিয়ম মেনে নেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিরুদ্ধে ত্রিনবাগোর লাল কার্ড অবশ্য তাদের জয় থেকে আটকাতে পারেনি। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে নেভিসরা। ১৭৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে নেন ত্রিনবাগো। এবং ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেন নারিনরা। ম্যাচ যতই জিতুন, ক্রিকেট ইতিহাসে চিরকাল থেকে যাবে নারিনের নাম!