ইডি-র এক আধিকারিকের মেয়ের জন্য হস্টেল দেখতে গিয়েই ডাউনলোডের ঘটনা, জানাল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থায় গত সোমবার টানা ১৮ ঘণ্টা ওই সংস্থার আলিপুরের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। কিন্তু, ওই তল্লাশি অভিযানের পরই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার হিসাবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার কাছে অভিযোগ জানান, তাঁদের অফিসের কম্পিউটারে ১৬ টি নতুন ফাইল ডাউনলোড হয়েছে। অফিসে তল্লাশির সময় ইডি আধিকারিকেরা এই ফাইল ডাউনলোড করেছিল বলে দাবি করেন চন্দন। একইসঙ্গে  এ প্রশ্নও তোলেন কেন এই ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছিল তা নিয়েও। তাঁর এই অভিযোগের পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার এ ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। চিঠি পাঠানো হয়েছে অভিযোগকারী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ইডি-র এক অফিসার তল্লাশি চালানোর সময় নিজের মেয়ের আইআইইএসটি শিবপুরের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন। কিন্তু, যাদবপুরের সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য তিনি চিন্তিত ছিলেন। তাই আইআইইএসটির সাইট থেকে হস্টেল খুঁজছিলেন। এদিকে চন্দনবাবু আবার দাবি করেছিলেন, তাঁদের চোখের আড়ালেই এই কাজ হয়েছে। যদিও ইডির সাফ দাবি, আড়ালে-আবডালে কিছু হয়নি। কোনও অনৈতিক কাজ করা হয়নি। সবটাই চন্দনবাবুর সামনে হয়েছে। সার্চ শেষ হওয়ার আগেই চন্দনের সামনেই ওয়েবসাইট সার্চ করছিলেন ওই আধিকারিক।

একইসঙ্গে ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে ফাইল ডাউনলোড করা হয়নি। সার্চ করতে গিয়ে হস্টেল লেখা এক্সেল ফাইল ডাউনলোড  হয়ে যায়। এদিকে সোমবারের তল্লাশি অভিযানের পর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দু’টি কম্পিউটারের পাশাপাশি হার্ড ডিস্কও নিয়ে এসেছে পুলিশ। কারণ, পুলিশের তরফ থেকে বোঝার চেষ্টা চলছে আদতে কী ঘটনা ঘটেছিল তা দেখতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 4 =