পাক গুপ্তচরদের তথ্য পাচারের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধৃত ১

পাক গুপ্তচরকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে এও জানানো হয়েছে, ধৃতের নাম ভক্ত বংশী ঝা। এসটিএফের হাতে ধৃত এই ভক্ত বংশী ঝা আদতে বিহারের দাড়ভাঙার বাসিন্দা। তাঁকে শুক্রবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ধৃতের মোবাইল থেকে মেলে দেশ সম্পর্কিত গোপন ছবি ও ভিডিয়োও।পাশাপাশি মিলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্রান্ত নথিও। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে দেশের উচ্চ পদস্থ কর্তা কিংবা সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ফাঁসানো হত। সেখান থেকেই তথ্য হাতিয়ে পাক গুপ্তচরকে পাঠানো হত। ভক্ত এই কাজেই যুক্ত ছিল।

ভক্ত বংশীকে গ্রেফতারের পর তদন্তকারীরা এও জানান, ভক্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি, ছবি পাক গুপ্তদেরকে কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শেষ তিন মাস ভক্ত কলকাতাতেই থাকছিলেন। এর আগে কাজ করতেন দিল্লিতে একটি কুরিয়র সংস্থায়। কলকাতায় বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট কাজ করেছেন।

এসটিএফ সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর ইন্টেলিজেন্স দফতরের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে আগেই খবর পাঠানো হয়েছিল। সঙ্গে ভক্তের ব্যাপারে সমস্ত তথ্যও দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক মাস ধরে খোঁজ চালাচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে বহুদিন থেকেই কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে সেনা জওয়ান ও দেশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সতর্ক করা হয়। মূলত সামাজিক মাধ্যমেই পাতা হত হানি ট্রাপের ফাঁদ। সেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা আধিকারিক কিংবা সেনার জওয়ানদের ফাঁসানো হত। গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কার্যকলাপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বহু আধিকারিকই নিজেদের ইউনিফর্মে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করছেন।আর তাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে সোশ্যাল মাধ্যমে। এদিকে সোশ্যাল সাইটে স্পর্শকাতর স্থান, যেমন সেনা ছাউনি বা অন্য কোনও ক্যাম্প থেকে এইসব ছবি-ভিডিয়ো আপলোড হওয়ায় অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − three =