অনবদ্য শুরু, মাঝে হতাশা, শেষ দিকে জয়ের হাসি। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত চেয়েছিলেন, গ্যালারিতেও জয় ইস্টবেঙ্গল ধ্বনি শুনতে। এর জন্য মাঠেও অনবদ্য একটা পারফরম্যান্স প্রয়োজন ছিল। শুরুটা ভালো হলেও ইস্টবেঙ্গলকে প্রবল চিন্তায় রাখল রক্ষণ ভাগ। ডুরান্ড কাপের ইতিহাসে মোহনবাগানের সঙ্গে যুগ্মভাবে সবচেয়ে সফল দল ইস্টবেঙ্গল। দু-দলই ১৬ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আপাতত ট্রফি খরা চলছে ইস্টবেঙ্গলে। নতুন মরসুমে ভালো শুরু করেছে লাল-হলুদ। ট্রফি জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিন কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে প্রবল বৃষ্টিতে শুরু হল ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও গোকুলম কেরালা এফসি। ভয় ধরিয়ে জয়। গোকুলমকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই ম্যাচটা যেন বদলারও ছিল। ২০১৯ সালে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গোকুলম কেরালা এফসি। সে বার সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকেই হারিয়েছিল তারা। এ বার কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা। বদলার ম্যাচ জিতে দীর্ঘ চার বছর পর ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরুতেই লাল-হলুদ গ্যালারিতে ব্যাপক আনন্দ। কর্নার থেকে অনবদ্য বিল্ড আপ হয়। বোরহা-সিভেরিও হয়ে এলসে। দারুণ ভাবে বল ফলো করেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার এলসে। হেডে গোল করেন লাল-হলুদের নতুন বিদেশি জর্ডন এলসে। মাত্র ৪২ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ভারতীয় ফুটবলে তাঁর প্রথম গোল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চাপে পড়ে লাল-হলুদ। প্রথমার্ধেও রক্ষণ ভাগ বেশ কয়েক বার ভয় ধরিয়েছে। ৪১ মিনিটে লাল-হলুদ রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝি। গোকুলম কেরালা ক্যাপ্টেন অ্যালেক্সের জোরালো শট, অনবদ্য সেভ করেন গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। এক গোলে এগিয়ে থাকায় যেন বেশি স্বস্তিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে তারই ফল ভুগতে হল। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে লম্বা বল, হেডে গোল বৌবার। পুরোপুরি আনমার্কড ছিলেন। সমতা ফিরিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রবল চাপে ফেলে তারা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সিভেরিওর জায়গায় ক্লেটন সিলভাকে নামায় ইস্টবেঙ্গল। এরপরই আক্রমণে ধার বাড়ে। চাপের কারণেই ভুল গোকুলম কেরালার। ৭৭ মিনিটে ফের লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। সাউল ক্রেসপো হেডের চেষ্টা করলেও অনেক নীচু বল। তিনি সেলিব্রেশনে মাতলেও দেখা যায় সেটি বৌবার আত্মঘাতী গোল। ২৯ অগস্ট সেমিফাইনালে যুবভারতীতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল।