এসএসকেএম-এর হস্টেলে নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল এমন ঘটনা ব়্যাগিয়ের জন্য ঘটেছে কি ন তা নিয়ে। এদিকে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে ইতিমধ্যেই হাসপাতালের তরফেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন হস্টেল সুপার, নার্সিং সুপার ও অধ্যাপক। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ব়্যাগিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন এসএসকেএম-এর উপাধ্যক্ষ তথা মেডিক্যাল সুপার পীযূষকান্তি রায়। তাঁর দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনাকে এক করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।
এদিকে সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার, বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। লিটন হস্টেলে থাকতেন সুতপা। মৃত ওই নার্সিং ছাত্রীর বাবা সুদামা কর্মকার পেশায় একজন স্বর্ণকার। তাঁর মা বেলা কর্মকার গৃহবধূ। সুতপা তাঁদের একমাত্র সন্তান। গত চার বছর ধরে কলকাতায় পড়াশোনা করছিলেন তিনি। এই বিষয়ে স্থানীয় পুর কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ সাহা জানান, পুলিশ প্রশাসনের তরফে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়েছে যে সুতপার বাবা ও মা-কে দ্রুত কলকাতায় পাঠানোর জন্য। সুতপার বাবা-মা ইতিমধ্যেই কলকাতার উদ্দেশে রওনাও দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই এসএসকেএম-এর হস্টেলের শৌচাগারে এক নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হস্টেল চত্বরে। জানা গিয়েছে হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকরা জানাচ্ছেন, এদিন সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সুতপাকে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে হস্টেলের শৌচাগারে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। আবাসিকদের কারও কারও দাবি, আংশিক ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন সুতপা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হস্টেলে পৌঁছায়। পৌঁছে যান হস্টেলের কর্মীরাও। হস্টেলের আবাসিকদের সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরে কিছুটা অন্যমনষ্ক দেখাচ্ছিল সুতপাকে। সেক্ষেত্রে মানসিকভাবে তিনি কোনও সমস্যা বা চাপের মধ্যে ছিলেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে সুতপার সহপাঠিনীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ। ঘটনায় নেপথ্যে প্রেমঘটিত কোনও বিষয় রয়েছে কি না সেই দিকটিও দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃতার মোবাইল ফোনটিও।