অভিষেকের কথা অগ্রাহ্যের অভিযোগ, পুরসভায় জয়ী নির্দলদের ফেরালেন দলে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: অভিষেকের কথা অগ্রাহ্য করেই পুরসভা নির্বাচনে জয়ী নির্দল প্রার্থীদের দলে ফেরানোর অভিযোগ উঠল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আর তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে।
বিধায়ক তন্ময় ঘোষ দাবি করেন, দলীয় নির্দেশেই নির্দল প্রার্থীদের তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করানো হয়েছে। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বড়জোরা বিধানসভার বিধায়ক অলোক মুখার্জির দাবি, যাঁরা তৃণমূলে ছিলেন, টিকিট পাননি বলে নির্দলে দাঁড়িয়েছিলেন, দল যতদিন না বলবে ততদিন তাঁদের দলে নেওয়া যাবে না। বিধায়ক কী বলছেন জানি না, তবে তিনি কলকাতায় রিপোর্ট দিয়েছেন বলে জানান, যিনি দলে নিয়েছে তিনি বুঝবেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘এদের নীতি বোঝা যায় না, শুধুমাত্র দুর্নীতির জন্যই এদেরকে দলে নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিষ্ণুপুর পুরসভা নির্বাচনে ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে, কংগ্রেস একটা, বিজেপি দু’টো এবং তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ তিন কর্মী নির্দলে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন। পুরসভা নির্বাচনের আগে ২০২২ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অলোক মুখার্জি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে হীরালাল দত্ত, সঞ্জয় মুখার্জি এবং দেবজিৎ কুণ্ডু, এই তিন নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
পরে ২০২৩ সালে ২২ মে নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে বিষ্ণুপুরের অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দলে দাঁড়িয়েছেন এবং জিতেছেন, তাঁদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দরজা সারা জীবনের জন্য বন্ধ। এতকিছুর পরেও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী গত ২১ অগস্ট বিধায়ক কার্যালয়ে ৮ নম্বর এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা নির্দল প্রার্থী সঞ্জয় মুখার্জি এবং হীরালাল দত্তকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে ধরিয়ে যোগদান করান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =