শুরুতে প্রবল ধাক্কা। সেখান থেকে অনবদ্য কামব্যাক। বাংলাদেশের আবাহনী ক্লাবকে হারিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিল মোহনবাগান। মরসুমের শুরুতেই নিজেদের লক্ষ্য পরিষ্কার করে দিয়েছিল সবুজ মেরুন। কোচ হুয়ান ফেরান্দো বারবার বলেছেন, এএফসি কাপই প্রধান লক্ষ্য। প্রাথমিক পর্বের প্রথম ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল মোহনবাগান। যদিও সেই ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না কোচ। আবাহনীর বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে প্রবল চাপে ছিল সবুজ মেরুন। সেখান থেকে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াল মোহনবাগান। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে পৌঁছে গেল তারা। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, এএফসি কাপ। একসঙ্গে তিনটি টুর্নামেন্ট। হাতে গোনা কয়েকজন সব টুর্নামেন্টে খেলছেন। কলকাতা লিগে তরুণদেরই খেলানো হচ্ছে। ডুরান্ডে প্রথম দু-ম্যাচে জিতলেও মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচে হার। কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লেগেছিল। তবে লক্ষ্য থেকে দূরে সরেনি সবুজ মেরুন। এএফসি কাপে আবাহনীর বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছরে তিন বার দেখা হয়েছিল মোহনবাগানের। তিন বারের মধ্যে দু-বার ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল সবুজ মেরুন। একটি ম্যাচ ১-১ ড্র হয়েছিল। এ বার তুলনামূলক শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছিল আবাহনী। নিজেদের শেষ চার ম্যাচেই জিতেছিল তারা। ম্যাচের আগে ফেরান্দো পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, লড়াইটা হবে সমানে সমানে। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। গোলরক্ষক বিশাল কাইথ বড় ভুল করেন। সেই ভুলের সুযোগ নিতে ছাড়েনি আবাহনী। পিছিয়ে পড়াটাই যেন তাতিয়ে দেয় মোহনবাগানকে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। মোহনবাগানের তৈরি করা প্রবল চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ে আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে মিলাদ শেখের আত্মঘাতী গোলে ২-১ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বোমাসের পাস ধরার অপেক্ষায় ছিলেন আর্মান্দো সাদিকু। তাড়াহুড়োয় নিজেদের জালেই বল জড়ান মিলাদ। ম্যাচের বয়স তখন এক ঘণ্টা। ৩-১ এর লিড নেয় মোহনবাগান। কর্নার থেকে গোল আর্মান্দো সাদিকুর। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানের সঙ্গে রয়েছে আইএসএলের আর এক ক্লাব ওডিশা এফসি, বাংলাদেশের বসুন্ধরা ক্লাব এবং মলদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব।