আগামী সপ্তাহে যাদবপুরে আসতে পারে ইউজিসির প্রতিনিধি দল এমনটাই খবর ইউজিসি সূত্রে।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য। র্যাগিং নিয়েও বিতর্ক চরমে উঠেছে। কলকাতায় দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজোয় এসে এ নিয়ে মন্তব্য করতেও দেখা যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। ঘটনার কড়া নিন্দার পাশাপাশি এই ঘটনার দায় রাজ্য সরকারকেও নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। র্যাগিং রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করতে শোনা যায় তাঁকে। এদিকে যাদবপুরের এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় নিজে থেকে রিপোর্ট পাঠায়নি বলেও অভিযোগ ইউজিসি বা ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে য়ে রিপোর্ট পাঠানো হয় তাতেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি।
যাদবপুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যে ক্ষুব্ধ তা তিনি নিজের কথাতেই বুঝিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রোধে যা পদক্ষেপ দরকার ছিল, তা করা হয়নি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরও।’ বহিরাগত ইস্যুও তুলে তিনি যাদবপুর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে এ প্রশ্নও করেন, ‘বাইরের ছাত্র-ছাত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কীভাবে থাকে? পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি! রাজ্য সরকারকেও এর দায় নিতে হবে।’ র্যাগিং নিয়ে নতুন কোনও আইনের প্রয়োজন নেই বলেও মত কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর। যে সব আইন রয়েছে সে গুলিকে রাজ্য সরকারের মেনে চলতে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিকে আবার ইউজিসি-র বিস্তর অভিযোগ রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কোনও রিপোর্ট পাঠায়নি। সংবাদমাধ্যমে ঘটনার কথা জেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের ফোন করলেও, যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি ইউজিসি-র আধিকারিকদের। সেই কারণেই আগামী সপ্তাহে ইউজিসি-র একটি প্রতিনিধি দল যাদবপুরে আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।