মেয়েদের ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন

পুরুষদের ফুটবলে এক বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। ২০১০ সালে বিশ্ব জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। মেয়েদের ফুটবলে এ বারই প্রথম ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল স্পেন। ফাইনালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম সুযোগেই বিশ্বসেরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ওলগা কারমোনা। অনবদ্য পারফর্ম করেন ইংল্যান্ডের গোল কিপার ম্যারি ইয়ার্পস। না হলে স্পেনের পক্ষে স্কোর লাইন আরও বেশি হতে পারত। ম্যাচে প্রায় ১৫ মিনিটের বেশি অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। জয়ের হাসি লা রোহাদের। টুর্নামেন্টে অনবদ্য পারফর্ম করেছে ইংল্যান্ড। একের পর এক অনবদ্য জয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে সেরা দল। এ বার লক্ষ্য ছিল বিশ্বসেরা হওয়া। তাদের অভিজ্ঞ ডাচ কোচ সারিনা উইগম্যান দলকে দুর্দান্ত পরিচালনা করেছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফির ম্যাচে জায়গা করে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ফুটবলে ইংল্যান্ড এক বারই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুরুষদের বিশ্বকাপে ১৯৬৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। সারিনা উইগম্যান তেমনই একটা ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলেন। প্রথম বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাতে চেয়েছিল লায়োনেসরা। পার্থক্য গড়ে দিল একটা গোল। একটা হার কতটা বদলে দিতে পারে, সেটা স্পেনকে দেখে বলা যায়। গ্রুপ পর্বে প্রথম দু-ম্যাচ জিতে নকআউট নিশ্চিত করেছিল স্পেন। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হার। সেখান থেকে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্পেন। শিবিরে কোচ এবং প্লেয়ারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল বলেও খবর ছড়ায়। এত প্রতিকুলতার মধ্যেও ফোকাস হারায়নি তারা। ফাইনালে নামার আগে রাফায়েল নাদাল, ক্যারোলিনা মারিনের মতো স্প্যানিশ তারকারা শুভেচ্ছা জানায়। ২০১০ সালে পুরুষদের বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করে স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করা ইনিয়েস্তার বার্তাও ছিল। ঠিক ইনিয়েস্তার মতোই মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে এক মাত্র গোলে স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করলেন কারমোনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 13 =