নজর ছিল ব্যাটারদের প্রস্তুতিতে। সেই লক্ষ্য আংশিক পূরণ হল। উপযোগী ইনিংস খেললেন সঞ্জু স্যামসন। কাল এশিয়া কাপের দল নির্বাচন। তার আগে সঞ্জুর ইনিংস নির্বাচকদের স্বস্তি দিল। তবে তিলক ভার্মা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের অন্যতম প্রাপ্তি তিলক। আয়ার্ল্যান্ডে প্রথম দু-ম্যাচে সেই ছন্দ বজায় রাখতে পারলেন না। আয়ার্ল্যান্ডে অপরাজিত রেকর্ড অক্ষত রাখল ভারত। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৩ রানে জয়। সিরিজও জিতে নিল ভারত। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন্সির অভিষেক সিরিজে জয় জসপ্রীত বুমরার। বোলিংয়েও অনবদ্য। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। এর মধ্যে শেষ ওভারে উইকেট মেডেন। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আয়ার্ল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং। সতর্ক শুরুর পর বিধ্বংসী ব্যাটিং যশস্বীর। যদিও ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হল না। ১১ বলে ১৮ রানেই ফিরলেন যশস্বী। সহ-অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে যোগ দেন তিলক। দ্বিতীয় বলেই আউট। চারে নেমে ভরসা দিলেন সঞ্জু স্যামসন। ২৬ বলে ৪০ রান করেন তিনি। অনবদ্য একটা ইনিংসের ইতি হতাশাজনক ভাবে। স্পিনার বেন হোয়াইটের বোলিংয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাটে লেগে উইকেটে। তবে এই ইনিংস অনেকটাই দামি। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৪৩ বলে ৫৮ রানের অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে নজর কাড়েন রিঙ্কু সিং। আইপিএলের মতো রিঙ্কুকে জাতীয় দলেও ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং পাননি। এই ম্যাচে ২১ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শিবম দুবে ১৬ বলে ২২ রান করেন। আয়ার্ল্যান্ডকে ১৮৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত। প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো শুরুতে উইকেট নিলেও আয়ার্ল্যান্ডকে চাপে ফেলা যায়নি। অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন আয়ার্ল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কেরিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি তাঁর ব্যাটে। ক্রমশ লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল আয়ার্ল্যান্ড। একেক সময় মনে হয়েছে, এখান থেকে জিততেও পারে তারা। বলবির্নিকে ফিরিয়ে সেই চাপ কমান অর্শদীপ সিং। ৫১ বলে ৭২ রান করেন বলবির্নি। জসপ্রীত বুমরা বোলিংয়ে যেমন নজর কাড়লেন, তেমনই নেতৃত্বেও। শেষ ওভারে ৩৮ রান প্রয়োজন ছিল আয়ার্ল্যান্ডের। ৩৩ রানের অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিল ভারত।